ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ৪

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৪
জাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে তিন ভর্তিচ্ছুসহ ৪ জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটে জীববিজ্ঞান অনুষদের দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালীন সময় গনিত ও পরিসংখ্যান ভবনের ১২২ নং কক্ষ থেকে হুমাইয়া আতিয়া আঁখি (রোল-৪০৭৮০০) নামক এক ভর্তিচ্ছুকে আটক করা হয়।



আটক ছাত্রী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তার প্রশ্নপত্রের কোড বাইরে পাঠানোর পর ঐ কক্ষের পরিদর্শক পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এলমা জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে ধরা পড়েন। পরে তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামুনুর রশিদ নামের এক যুবককে আটক করে প্রশাসন।

আটক মামুন নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে লেদার টেকনোলজি’র সাবেক শিক্ষার্থী ও আঁখির নিকট আত্মীয় বলে পরিচয় দেন।

মামুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, আঁখিকে ভর্তি করাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু হাফিজুর রহমানের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ অধ্যয়নরত সোহাগ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তুষার ও পরিসংখ্যান বিভাগের আপনসহ কয়েকটি জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এরপর সাড়ে চার লাখ টাকায় আঁখিকে ভর্তি করানোর শর্তে চুক্তি হয় তাদের সঙ্গে ।

আটক মামুন আরো জানান, জালিয়াতি চক্রের সাথে এরুপ চুক্তি হয় যে, তারা ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২ ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্র মুখস্ত করাবে। আগে মূল সনদপত্র জমা দিতে হবে। মেধাতালিকায় নাম আসলে চার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর দিন জমা দিতে হবে।

এ বিষয়ে আটক ছাত্রী জানান, পরীক্ষা শুরুর আগে আপন ও তুষার আমাকে একটি মোবাইল ফোন দেন এবং প্রশ্নপত্রের কোড এসএমএস করতে বলেন। আমি সেট কোড এসএমএস করি। কিন্তু উত্তর আসার আগেই শ্রেণিকক্ষের কর্তব্যরত শিক্ষক বুঝতে পারেন।

এদিকে  বুধবার ষষ্ঠ শিফটের পরীক্ষা চলাকালে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবনের ২৭ নং কক্ষ থেকে রিয়াজ এবং সাহেদুর নামের দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

তাদের দুজনের প্রশ্নপত্রের কোড আলাদা থাকা সত্ত্বেও  দুজনই পরীক্ষার উত্তর পত্রে একই কোড পূরণ করলে হল পরিদর্শক তাদের আটক করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া এ ধরনের অসৎ  কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।