নোবিপ্রবি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. মমিনুল হকসহ চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার রাত ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি রেজিস্ট্রারসহ চার কর্মকর্তা তাদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের বিপক্ষে শোকজ লেটারে স্বাক্ষর দেন।
ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এর আগে মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘দেখে নেওয়ার হুমকি ও খারাপ আচরণের’ অভিযোগ এনে সব ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন। এছাড়াও শিক্ষক সমিতি দোষী কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে নোবিপ্রবি উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয়।
তবে শিক্ষকদের আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নোবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনর আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সমাবর্তনে প্রদত্ত সার্টিফিকেটগুলোতে বানান ভুল ও শিক্ষকদের বিভিন্ন অপকর্ম ঢাকতেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে, শিক্ষকদের ন্যায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও নোবিপ্রবি উপাচার্য বরাবর ৪ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি পেশ করেছে। তাছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কর্মবিরতি পালন করেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
উভয়পক্ষের অনড় অবস্থানের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরী শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের নিয়ে বুধবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক করেন। সন্ধ্যার পর উপাচার্যের অনুরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের পক্ষে রেজিস্ট্রারসহ চার কর্মকর্তা শোকজ লেটারে স্বাক্ষর করেন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (রাত ১১টা) রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৪