ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) দৃষ্টিনন্দন কৃষাণ টাওয়ার ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।
১৯৬৯ সালে কৃষি মেলা উপলক্ষে টাওয়ারটি নির্মাণ করা হয়।
টাওয়ারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মাঠে অবস্থিত। এর উওরপাশে রয়েছে সবুজ লন। সেখানে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাহারি ফুল ফোটে। পূর্ব দিকটাতে আছে গবেষণার জন্য বিভিন্ন প্রজাতির ধান গাছ। দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশটায় গবেষণার জন্য বিভিন্ন ঋতুতে হরেক রকমের ফসল চাষ করা হয়।
প্রাতঃভ্রমণের পর খানিক বিশ্রাম, মাঠে কাজ করে ক্লান্ত শিক্ষার্থীর বিশ্রাম, ক্লাসের ফাঁকে অথবা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তুমুল আড্ডা, কারো জন্মদিন পালন, বিকেলে ঘুরতে আসা মানুষের ভিড়, গিটারের টুংটাং শব্দে দলবেঁধে গান, প্রেমিক-প্রেমিকার খুনসুটি অথবা নাটক সিনেমার শুটিং অনেক কিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে এই টাওয়ারটি।
কিন্তু শিগগির নিলাম ডেকে ভেঙ্গে ফেলা হবে টাওয়ারটি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী একটি সুপ্রশস্ত রাস্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাণিজ্য মেলার মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় গিয়ে মিশবে এবং সেখানেই স্থাপিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট।
ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার আরো বলেন, এ রকম একটি টাওয়ার সত্যিই আমাদের দেশে বিরল। ২০০৯ সালে টাওয়ারটি রেখে মাস্টারপ্ল্যান করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে টাওয়ারটি তৈরি করতে প্রায় ১ কোটি টাকা লেগে যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ২৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এক সভায় উপাচার্য অধ্যাপক মো. শাদাত উল্লা বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে কৃষাণ টাওয়ারটি ভেঙ্গে সেখানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার অবদান ও কৃষিতে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে একটি স্মৃতিফলক তৈরি করা হবে ।
তবে, টাওয়ারটি ঘিরে রয়েছে শেকৃবির প্রতিটি শিহ্মার্থীর নানা আবেগ ও স্মৃতি। তারা টাওয়ারটি রেখে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪