ঢাকা: রাশিয়ার অবনিন্সকে অবস্থিত প্রখ্যাত ন্যাশনাল রিসার্চ নিউক্লিয়ার ইউনিভার্সিটিতে (মেফি) শিক্ষালাভের সুযোগ পেয়েছেন ১০ বাংলাদেশি প্রতিভাবান শিক্ষার্থী। তারা সেখানে ৬ বছর মেয়াদী কোর্সে পদার্থবিদ্যায় অধ্যয়ন শুরু করেছেন।
ইতোপূর্বে ২০১৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত পদার্থবিদ্যা অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী ৭০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ জনকে মেফিতে শিক্ষালাভের জন্য পূর্ণ বৃত্তি প্রদান করা হয়।
রুশ রাষ্ট্রীয় আণবিক শক্তি কর্পোরেশনের (রোসাটম) পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত অলিম্পিয়াডে রোসাটম ও মেফির প্রতিনিধিরা পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, ইংরেজি ও অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতার বিচারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বিজয়ীদের নির্বাচিত করেন।
রোসাটমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশে সোভিয়েত ও রুশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকাস্থ রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র অলিম্পিয়াড আয়োজনে সহায়তা করে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আণবিক বিশেষজ্ঞ হওয়ার ও দেশের আণবিক শিল্প উন্নয়নে ভূমিকা রাখার এটি ছিল একটি অনন্য সুযোগ।
শিক্ষার্থীরা মেফিতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও আণবিক শিল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষালাভ করা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। মেফি বিশ্বের অন্যতম আণবিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার পাঁচজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন।
বাংলাদেশ ও রুশ সরকার ২০১১ সালে আণবিক শক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তির অধীনে রাশিয়া বাংলাদেশের রূপপুরে ভিভিইআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিটি ১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট ডিজাইন, নির্মাণ ও পরিচালনা করবে। এ ছাড়াও বাংলাদেশি আণবিক বিশেষজ্ঞ তৈরি ও প্রশিক্ষণেও সহায়তা করবে রাশিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৪