জবি: বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আলোকসজ্জা, ব্যানার, ফেস্টুন, রঙিন পতাকা আর জমজমাট কনসার্টের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ক্ষণ উদযাপন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
সোমবার সকাল ৯টায় শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্তকরন ও বেলুন ওড়ানোর মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী উদযাপন কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এসময় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে গলা মিলিয়ে দেশ ও প্রিয় ক্যাম্পাসের প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অতিথি, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভানুধ্যায়ীরা।
সাড়ে ৯টায় বের হয় এক বর্ণাঢ্য ৠালি। ৠালিতে ভুভুজেলা ও বাজনার তালে তালে ঐতিহ্যবাহী পুরোনো ঢাকা সতেজতা ফিরে পায়। হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী-শুভানুধ্যায়ী ৠালিতে অংশগ্রহণ করেন। ৠালিটি ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে, ভিক্টোরিয়া পার্ক, রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।
সাড়ে ১০টায় জবির প্রথম এবং একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা করা হয়।
দুপুর ১২টায় জবি বিজ্ঞান ভবন চত্বরে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল আলোচনা সভা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান বিশ্বের অর্থনীতি সম্পূর্ণ জ্ঞানভিত্তিক। কোনো দেশের জ্ঞান যদি শূন্য হয় তাহলে অর্থনীতিও শূন্য হয়ে যাবে। বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি জনগোষ্ঠী যুবক ও ছাত্র। তারাই দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারবে।
জবির আবাসন সঙ্কট সম্পর্কে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা সম্পর্কে সরকার অবগত আছে।
যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংকট নিরসনের উদ্দেশে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা হয়েছে। নতুন ভবনের উর্ধমুখী নির্মাণ কাজ শেষে বিজ্ঞান অনুষদের পুরানো ভবনগুলো ভেঙে ৩০ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া, দু’টি ছাত্র হল এবং আরও একটি ছাত্রী হল নির্মাণ করার আশ্বাস দেন তিনি।
রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জবির ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জবির সাবেক শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম বাবু, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস, সাধারণ সম্পাদক ড. পরিমল বালা, জবি ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এসএম সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে কনসার্টে পুরো ক্যাম্পাসসহ পুরনো ঢাকা মাতিয়ে তোলেন জনপ্রিয় গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর, চন্দনা মজুমদার, কিরণ চন্দ্র রায় ও ব্যান্ড দল মাইলস। কনসার্ট চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৪