ঢাকা: আগামী ২০১৫ সালের প্রাক-প্রাথমিকের শিশু-শিক্ষার্থীদের সুযোগ হচ্ছে পাঠ্যপুস্তকে সড়ক নিরাপত্তা শেখার। এছাড়া পাঠ্যপুস্তকে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি আরো বিস্তৃত করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে সড়ক ব্যবহার/সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভূক্তকরণ’ বিষয়ক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (মাধ্যমিক-২) বেগম রুহী রহমান।
সভার সভাপতি রুহী রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৫ সালের প্রাক-প্রাথমিকের সিলেবাসে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত হবে। জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা ওই বই হাতে পাবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ব্র্যাক এবং নিরাপদ সড়ক চাই’র প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
পাঠ্যসূচিতে সড়ক নিরাপত্তা অন্তর্ভূক্তির জন্য ২০১২ সালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ (তৎকালীন সড়ক বিভাগ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি খসড়া সিলেবাস পাঠায়।
সড়ক দুর্ঘটনার ব্যাপকতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাঠ্যসূচিতে সড়ক নিরাপত্তা অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি জোরালো হয়।
সোমবার নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জনের মৃত্যুর মধ্যেই মঙ্গলবার সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সভায় বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রুহী রহমান বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের ওই কনসেপ্ট ২০১৩ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) দেওয়া হয়। ব্র্যাক ও নিরাপদ সড়ক চাই ওই খসড়া তৈরিতে সহায়তা করে।
এনসিটিবি ২০১৩ সালে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যসূচিতে সড়ক নিরাপত্তার নিয়ে কিছু বিষয় অন্তর্ভূক্ত করে বলে সভায় জানানো হয়েছে।
আমরা আরো কর্মশালা করে পাঠ্যপুস্তকে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি কোথায় কীভাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে তা দেখে আরো বিস্তৃত করবো- বলেন রুহী রহমান।
এর আগে রুহী রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাচ্চাদের ড্রয়িং ক্লাস, গার্হস্থ্য বা সাধারণ বিজ্ঞান ক্লাসের বইয়ে সিলেবাস ঢুকানো যায় কি না- তা চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।
পাঠ্যসূচিতে সড়ক নিরাপত্তা আরো বিস্তৃত করার আগে কর্মশালা-সেমিনারে সবার মতামত নেওয়া হবে বলে জানিয়ে রুহী রহমান জানান, এজন্য সড়ক বিভাগের কাছে তাদের প্রস্তাবনার ই-বুক চাওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি ম্যানুয়ালি সিলেবাস দিয়েছিলাম। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চাহিদায় সেটি ই-বুকে রুপান্তরের জন্য বিআরটিএতে পাঠানো হয়েছে।
কীভারে রাস্তা পার হতে হয়, চলন্ত গাড়িতে থাকলে কী করতে হয়, গাড়িতে থাকলে কী করতে হয়, থামার পর কী করতে হয়, ছোটবেলা থেকে ছেলে-মেয়েরা পাঠ্যপুস্তকে এসব বিষয়ে শিখলে দুর্ঘটনা কম হবে বলে মনে করেন এম এ এন ছিদ্দিক।
** পাঠ্যসূচিতে যুক্ত হচ্ছে সড়ক নিরাপত্তা
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৪