সাতক্ষীরা: দাবি পূরণের আশ্বাসে অবশেষে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। এসময় জেলা প্রশাসক আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষক সংকট দূর, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চালু, বর্তমানে পরিবহন ভাড়া করে যাতায়াত ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী পরিবহনের ব্যবস্থা করা ও মেডিকেল কলেজে ওয়াইফাইয়ের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ধর্মঘট প্রত্যাহারে সম্মত হন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এসজেড আতিক, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর প্রমুখ।
এর আগে সাতক্ষীরার নির্মাণাধীন ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি চালু, শিক্ষক সংকট দূর ও পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থাসহ চার দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নিজেদের শরীরের রক্ত দিয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সমাবেশ চলাকালে বক্তব্য রাখেন- মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আতিকুর রহমান, মিজানুর রহমান তানভির, সব্যসাচী বিশ্বাস, তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আহসান হাবিব, শরীফ আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২৫০ শয্যা হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবন ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি তা নির্মাণ সম্পন্নসহ চালু হয়নি। রক্ত দিয়ে হলেও তা চালু করা হবে। কলেজ থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সদর হাসপাতালে গিয়ে তাদের ব্যবহারিক বিষয়গুলো শিখতে হচ্ছে। সেখানে পরিবহনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদির অভাব ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার দিয়ে ক্লাস নেওয়ায় তাদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। যা ভবিষ্যতে তাদের পেশাগত জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
এসময় তারা দ্রুত মেডিকেল কলেজ চালু, পরিবহনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদির অভাব পূরণ ও কলেজের ৪০টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবি না মানা হলে আমরণ অনশনসহ বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪