ঢাকা: জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করে গেছেন জাতীয় অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকতেন যে মৃত্যুর আগে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়টুকুও পাওয়া যায়নি।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘ভাষা-সৈনিক কবি ড. এনামুল হক সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৪’ শীর্ষক সাতদিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানের চতুর্থ দিনে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
ঢাকা জাদুঘরকে জাতীয় জাদুঘরে রূপদানকারী ভাষা সৈনিক কবি ড. এনামুল হক সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক কবির চৌধুরীর পর যে মানুষটি আমার প্রিয় তিনি ড. এনামুল হক। সাংস্কৃতিক অঙ্গণের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে তিনি তার মেধার স্বাক্ষর রাখেননি। তার কর্মময় জীবন আমাকে মুগ্ধ করে।
আলোচনা পর্ব শেষে মঞ্চায়িত হয় ড. এনামুল হক রচিত এবং প্রয়াত শহীদ আলতাফ মাহমুদ চৌধুরী সুরারোপিত গীতি নৃত্যনাট্য ‘হাজার তারের বীণা’।
এটি পরিচালনা করেন নৃত্যগুরু মাতা বেগম রাহিজা খানম ঝুনু। কণ্ঠ সঙ্গীতে ছিলেন, মাহমুদুন্নবী, শাহনাজ রহমত উল্লাহ, নাজমুল হুদা ও লীনা নাজমুল। উপস্থাপনা করেন তামান্না তাবাস্মুম মৌরী।
সাতদিন ব্যাপী এ সাংস্কৃতিক উৎসব শেষ হবে আগামী ২৮ অক্টোবর।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪