ঢাকা: বেসরকারি আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ৮ম বর্ষপূর্তি রাজধানীর শ্যামলী আশা টাওয়ারে ভার্সিটির ক্যাম্পাসে উদযাপিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এবং কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আশা ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মো. সফিকুল হক চৌধুরী।
পরে অনুষ্ঠানের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীরা এক বর্ণাঢ্য ৠালির আয়োজন করে। ৠালিটি শ্যামলী ও পাশ্ববর্তী এলাকা প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রির চেয়ারম্যান মো. সফিকুল হক চৌধুরী, উপাচার্য অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণ, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. একেএম হেলাল উজ জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেস্টা অধ্যাপক মো. মঈনউদ্দিন খান প্রমুখ।
সফিকুল হক বলেন, আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চলেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে আশা ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার মানের দিকে থেকে এগিয়ে। তাছাড়া এখানে খরচও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কম।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হবে নিরপাদ। এই লক্ষ্য নিয়ে আশা বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে চলেছে। এখানকার ছাত্র-শিক্ষকদের সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক তাই প্রমাণ করে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সব নাগরিক, বিশেষত নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা যেন গুণগতমানের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় সে লক্ষ্যে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ তার যাত্রা শুরু করে।
তারা বলেন, আশা ইউনিভার্সিটির শিক্ষাব্যয় অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কম। এখানে মেধাবী, অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল, নারী, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও আদিবাসীদের বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হয়।
আশা ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগে মোট চার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এখানে আইন বিষয়সহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়ানো হয়। এ ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সালে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৪