ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সিলেবাস ভিত্তিক বইয়ের সংকট

ইমরান আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৪
জবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সিলেবাস ভিত্তিক বইয়ের সংকট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সিলেবাস ভিত্তিক বইয়ের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

প্রতিবছর শিক্ষাপঞ্জীকে যুগোপযুগী ও হাল নাগাদ করা হলেও সেই সঙ্গে কেনা হচ্ছে না নতুন বই।

বইয়ের অভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা করতে পারছেন না। এনিয়ে তাদের মধ্যে বেশ ক্ষোভও সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আলাদা বাজেট না থাকায় নতুন বই কেনা হচ্ছে না। প্রতিবছর যে অল্পসংখ্যাক বই কেনা হয় তা বিভিন্ন বিভাগের সেমিনারে জমা হয়। এতে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে নতুন বইয়ের সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে।

২০০৫ সালে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে মোট ৩১টি বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পড়ানো হয়।

প্রতিটি কোর্সে একাধিক ইংরেজি রেফারেন্স বই পড়তে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। বেশিরভাগ বিভাগের সবগুলো কোর্স বাধ্যতামূলক ইংরেজি ভার্সনে পড়ানো হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ইংরেজি বইয়ের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে গত শিক্ষাবর্ষে (২০১৩-১৪) নতুন চালু হওয়া লোক প্রশাসন, নাট্যকলা, চারুকলা ও সংগীত বিভাগের কোনো বই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে নেই।

চারুকলার ছাত্র সুমিত বাংলানিউজকে বলেন, একটি কোর্সে দশটির বেশি বই সিলেবাসে উল্লেখ করা আছে। এত বই আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। গ্রন্থাগারে বইগুলো না পেয়ে আমি হতাশ।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মুস্তাকিম সোবহান বাংলানিউজকে বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ব্যাচে ভর্তি হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত যতবারই লাইব্রেরিতে গিয়েছি ততবার আমাদের কাঙ্ক্ষিত বই পাইনি।

জানা যায়, জবির গ্রন্থাগারে ২০ হাজারের বেশি বই রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ১০ হাজার বই এত পুরানো যে তাতে হাত দেওয়া যায়না। পড়তে গেলে পাতাগুলো ভেঙে বা ছিঁড়ে যায়।

ছেঁড়া, ফুটো বইগুলো বাঁধাই করে কোনোভাবে তাকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বাকি বইগুলোর মধ্যে সিংহভাগই বাংলা ভার্সনের। যেগুলো অনেক আগে কেনা হয়েছিল।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসের সঙ্গে সেগুলোর কোনো মিল নেই। তাই ওইসব বই আর পড়েন না শিক্ষার্থীরা। এছাড়া গ্রন্থাগারের সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে গল্প, উপন্যাস আর নাটকের বই।

গ্রন্থাগারে সিলেবাস ভিত্তিক বইয়ের সংকটের কথা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গ্রন্থাগারের জন্য আলাদা বাজেট করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

অনলাইনে বই পড়তে উৎসাহিত করার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের ২৬টি বিখ্যাত পাবলিকেশনের সঙ্গে ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে জবি। এতে ২০ হাজারের বেশি বই অনলাইনে ফ্রি পড়তে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।