ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা চলছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৪
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা চলছে ছবি: জাহিদ সায়মন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

শুক্রবার সকাল নয়টা থেকে জেএসসির বাংলা প্রথমপত্র এবং জেডিসির কোরান মজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।



শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নপত্রে জেএসসি ও মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সারা দেশে মোট ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৫ জন এবং জেডিসিতে তিন লাখ ২৬ হাজার ৯৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।

২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ লাখ পাঁচ হাজার ৫০৯ জন ছাত্রী এবং নয় লাখ ৮৫ হাজার ১৮৩ জন ছাত্র। এবার ছাত্রীর সংখ্যা ছাত্রদের তুলনায় এক লাখ ২০ হাজার ৩২৬ জন বেশি। গত বছর এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ১৯ লাখ ২ হাজার ৭৪৬ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯৪৬ জন।

হরতালের কারণে প্রথম দফায় ২ ও ৩ নভেম্বরের পরীক্ষা এবং দ্বিতীয় দফায় ৫ ও ৬ নভেম্বরের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

২ নভেম্বরের জেএসসির বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা ও জেডিসির কোরান মজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষা শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া ৩ নভেম্বরে নির্ধারিত জেএসসি ও জেডিসির পরীক্ষা ১৪ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৯টায়, ৫ নভেম্বরের পরীক্ষা আগামী ১৯ নভেম্বর ও ৬ নভেম্বরের পরীক্ষা ২০ নভেম্বর সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।

৫ নভেম্বর জেএসসিতে ইংরেজি প্রথম পত্র ও ৬ নভেম্বর ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে, জেডিসিতে ৫ নভেম্বর আরবি প্রথমপত্র ও ৬ নভেম্বর আরবি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

জেএসসি ও জেডিসির অন্যান্য পরীক্ষার সূচি অপরিবর্তিত থাকছে।

এ বছর বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা হবে সৃজনশীল প্রশ্নে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে।

এ ছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতিলেখক সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবে। তাদের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে।

বহু নির্বাচনী ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দুটি বিভাগ থাকলেও দুটি অংশ মিলে ৩৩ পেলেই পাস বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ এসএসসির মতো দুই অংশে আলাদা পাসের প্রয়োজন নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৪/আপডেটেড: ০৯৩৫ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।