বগুড়া: বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় জেএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহকে কেন্দ্রে করে শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোতাহার হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে তদন্ত করে একদিনের (বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর) মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার ইমাম তদন্তের নির্দেশ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, বুধবার (১২ নভেম্বর) জেএসসি পরীক্ষা চলাকালে উপজেলার নন্দীগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে একই উপজেলার কুন্দার হাইস্কুলের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র, হাটকুঁড়ি হাইস্কুলের সাইফুল ইসলাম ও শাহরীন সুলতানা তাদের পরিচিত পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করেন।
এ সময় কেন্দ্রে দায়িত্বরত বুরইল হাইস্কুলের শিক্ষক হুজুর আলী নকল সরবরাহে বাধা প্রদান করেন। এ নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরেই তাদের মধ্যে দুই দফা বাকবিতণ্ডা হয়। পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষক হুজুর আলীকে লাঞ্চিত করেন উল্লেখিত শিক্ষকরা।
বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও বৃহস্পতিবার সকালে তা প্রকাশ পায়। এরপর ইউএনও’র কাছে এ বিষয়ে জোড়ালো অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোতাহার হোসেনকে ঘটনার তদন্তে নির্দেশ দেন ইউএনও।
নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার ইমাম তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৪