রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রামেকের আইসিইউ থেকে সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে তার মরদেহ বের করা হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ শিক্ষকের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই পারিবারিকভাবে তাকে দাফন করা হবে।
মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাতেই ময়নাতদন্ত শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনার পর থেকে নিহতের পাশে রয়েছেন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ড. শফিকুলের একমাত্র ছেলে জেভিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের ছাত্র। তাকে খবর দেওয়া হয়েছে। ছেলে ও পরিবারের ইচ্ছায় মরদেহ বগুড়ার সোনাতলার গ্রামের বাড়িতে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানেই তার ছেলেকে আসতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, ঘটনার পর থেকেই রাবির উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন রামেক হাসপাতালে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হকসহ রাবি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
হাসপাতালে রাবির উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। এ ঘটনার পেছনে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
মহানগরীর মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনার পর থেকে দুর্বৃত্তদের আটকের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় রাবি সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাসার সামনে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম। পরে ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
** রাবি শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা
** রোববার রাবিতে শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৪