ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার (২৩ নভেম্বর)।
এবার প্রথমিক সমাপনীতে অংশ নেবে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৪ জন পরীক্ষার্থী।
আর ইবতেদায়ীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ১১ হাজার ২৬৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮ এবং ছাত্রী সংখ্যা এক লাখ ৪৮ হাজার ২৭৩ জন।
এবার ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী সংখ্যা দুই লাখ ১৫ হাজার ২২১ জন বেশি।
সরাদেশে ছয় হাজার ৭৯১টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া প্রাথমিক সমাপনীর জন্য দেশের বাইরে রয়েছে ১১টি কেন্দ্র।
প্রথম দিন বেলা ১১টা থেকে ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ইতোমধ্যে পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে শনিবার বাংলানিউজকে জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর হোসেন।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর রমনায় ভিকারুনন্নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন।
গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরেন মন্ত্রী।
গত বছর সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের পর গঠিত তদন্ত কমিটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্ন প্রণয়ন ও বিতরণের সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
তবে মন্ত্রী জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে বিশেষ নিরাপত্তার সঙ্গে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রশ্নপত্র বিশেষ নিরাপত্তায় জেলা ও উপজেলায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার দিন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখে উপজেলা কেন্দ্র থেকে কেন্দ্র সচিবের নিকট প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। দুর্গম এলাকায় ৩৬৭ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে।
এবার বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন ছাপা হলেও পরবর্তীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র তৈরি ও অন্যান্য কাজ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
মোট ছয়টি বিষয়ে প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়। আর ইবতেদায়ীতে এই পরীক্ষা শুরু হয় ২০১০ সালে। গত বছর ২০ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৯ লাখ ৫০ হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল দেওয়া হচ্ছে। গত বছর থেকে এই পরীক্ষার সময় আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা সূচি
২৩ নভেম্বর ইংরেজি, ২৪ নভেম্বর বাংলা, ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২৬ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২৭ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং ৩০ নভেম্বর গণিত।
ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা সূচি
২৩ নভেম্বর ইংরেজি, ২৪ নভেম্বর বাংলা, ২৫ নভেম্বর পরিবেশ পরিচিতি সমাজ/পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান, ২৬ নভেম্বর আরবি, ২৭ নভেম্বর কুরআন ও তাজবীদ এবং আকাঈদ ও ফিকহ্ এবং ৩০ নভেম্বর গণিত।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু থাকবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর- ৯৫১৫৯৭৭ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর- ৯০৩৮১২২।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগামী ২০ জানুয়ারি সনদপত্র দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৪