ঢাকা: ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রশ্নের সঙ্গে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নের কোনো মিল নেই বলে দাবি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে বুধবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করে এ দাবি করেছেন।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে সারা দেশে অনুষ্ঠিত এবারের সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে পঞ্চম শ্রেণি শেষ করা প্রায় ৩১ লাখ পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষা শুরুর পর থেকেই ফেসবুকে প্রশ্নপত্র পাওয়া যাচ্ছে, যার সঙ্গে অনেক প্রশ্নেরই মিল পাওয়া গেছে। কিন্তু তা অস্বীকার করছে মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবারও গণশিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসকদের কাছে তিনি প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য পাননি।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে একযোগে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, পরীক্ষা শুরুর পর দিন থেকে অদ্যাবধি বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। প্রচারিত প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি মন্ত্রণালয় প্রথম থেকে গুরুত্ব সহকারে বিচার বিশ্লেষণ ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
এতে আরো বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত সংবাদে জনমনে উদ্বেগ ও সৃষ্ট অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি অনুধাবন করে মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছেন। ফেসবুকে প্রাপ্ত প্রশ্ন/সাজেশন এবং এ যাবত অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মিলিয়ে দেখা হয়। কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে এ ধরনের ঘটনার উদ্ভব কি-না তাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
কিন্ত সার্বিক পর্যালোচনা শেষে প্রতীয়মান হয় যে, ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রশ্নের সঙ্গে সমাপনী পরীক্ষায় সরবরাহকৃত প্রশ্নের কোনো সামঞ্জস্য নেই। প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের সঙ্গে ফেসবুকে পাওয়া প্রশ্নপত্রের মিল থাকার কথা, কিন্তু তার প্রমাণ মিলেনি। এতে সুস্পষ্টভাবে প্রতীতি জন্মেছে যে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংবাদটি একটি গুজব, ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং তথ্য বিভ্রাটও বটে।
বিজ্ঞপ্তিত দেশের সবচেয়ে বড় এই পাবলিক পরীক্ষার সঙ্গে লাখ লাখ কোমলমতি শিক্ষার্থীর ভাগ্য এবং অভিভাবকদের স্বার্থ জড়িত উল্লেখ করে পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পরীক্ষা সম্পর্কে এ ধরনের হীন, অসত্য, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সন্দেহমূলক সংবাদ প্রচার না করে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য সর্বস্তরের জনগণ ও গণমাধ্যমের কাছে সহযোগিতা কামনা করা হয়।
অভিভাবকদেরও এ ব্যাপারে ‘অহেতুক’ উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪