কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি): কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও, নিজস্ব অর্থায়নে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি বাস কেনা হয়েছে। এ দুটি বাসেই যাতায়াত করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আর শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য রয়েছে বিআরটিসির ভাড়া করা ১০টি বাস। যা শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগণ্য।
শিক্ষার্থীর তুলনায় বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় গাদাগাদি করে বাসের দরজায় ঝুলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের। যেখানে ১টি বাসে ৭০ জনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে সেখানে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। এর ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনায় শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা।
ইতোপূর্বে, বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী পরিবহনের ফলে কোনোরূপ দুর্ঘটনা ঘটলে, তার দায় নেবে না এই মর্মে সর্তকতামূলক নোটিশও দিয়েছে। এছাড়াও পরিবহন বিভাগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেই আলাদা কোনো দপ্তর।
বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী রিফাত হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বাসের সংখ্যা এতোই কম যে, অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারি না। অনেক কষ্টে বাসে উঠতে পারলেও বসার কোনো সুযোগ পাওয়া যায় না।
মার্কেটিং বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, বিআরটিসির যে বাসগুলো আমাদের যাতায়াতের জন্য ভাড়া করা হয়েছে তার সবগুলিই অনেক পুরোনো। প্রায় সময়ই রাস্তায় নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নিয়মিত।
এ প্রসঙ্গে পরিবহন কমিটির আহ্বায়ক ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব বলেন, আমাদের পরিবহন সংকট রয়েছে। সংকট নিরসনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। নতুন বাস ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। পরিবহন দপ্তর করার চিন্তা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২১০৪