ঢাকা: পাবলিক পরীক্ষার সময় ফেসবুক বন্ধ রাখা যায় কি-না, আইনে তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।
চলমান প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরীক্ষার সময় ফেসবুক বন্ধ রাখা হবে কি-না, এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আইন কী বলে, চেক (পরীক্ষা) করে দেখবেন, প্রয়োজন হলে ওই সময় বন্ধ রাখবেন। আইনে দেখতে বলেছি। ফেসবুক নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়ায়, আইনে বন্ধ করা যায় কি-না তা দেখতে বলেছি।
সভায় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী বিটিআরসি’র এক কর্মকর্তাকে বলেন, ফেসবুক বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে, পরীক্ষার সময় ফেসবুক বন্ধ রাখলে কী সমস্যা হয়? আইসিটি আইনে কী আছে, দেখে বের করেন।
মোবাইল বন্ধ রাখার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, মোবাইলে সমস্যা নেই।
প্রশ্ন ফাঁস বা এ নিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এবার হোমিওপ্যাথিক ব্যবস্থা নয়,কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ মিথ্যা প্রচার করলেও আইনগতভাবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে (প্রশ্ন ফাঁস) হাত দিলে হাত পুড়ে যাবে।
পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ বা উচ্ছেদ চালানো যায় কিনা প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কোচিং সেন্টারে এবার নজরদারি আরো বৃদ্ধি করা হবে।
আগামী বছরের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে।
শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত না করে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সবার সহযোগিতা চান শিক্ষামন্ত্রী।
সভায় শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান প্রশ্ন ফাঁস বা বিভ্রান্তি রোধে ফেসবুকে প্রশ্ন ছড়ানো নিয়ে শিক্ষা আইন ও আইসিটি আইনে মামলা, প্রশ্নপত্র ছাপানোর স্থান বিজি প্রেসে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মতামত দেন।
সভায় জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহপরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিজি প্রেস, ৠাব, পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি গঠন
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন ও অর্থ) আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়াও জনপ্রশাসন, তথ্য, আইসিটি মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিজি প্রেস, ৠাব, পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, বিটিআরসি এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪