ঢাকা: মেরিন একাডেমিতে অনেকটা যেন ভেলকিই দেখিয়ে দিলেন আশরাফুল হক লিসান। স্বপ্নপ্রত্যাশী এই মেধাবী বাংলাদেশি তরুণ ভারত, শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া ও ব্রিটিশ মেরিন ক্যাডেটদের পেছনে ফেলে একাডেমিতে অর্জন করেছেন প্রথম স্থান।
এমন অভাবনীয় সাফল্যে অভিভূত হয়ে ব্রিটিশ সরকার উচ্চতর ডিগ্রির স্কলারশিপ দিয়েছে তাকে। শিক্ষানবিশ স্কেলেই ডেনমার্কের হারনিং শিপিং কোম্পানির ওয়েল ট্যাংকারে পেয়েছেন লাখ টাকার চাকরি। সব মিলিয়ে নিজের মেধার ওপর দাঁড়িয়ে তিনি টপকে যান দেশি-বিদেশি সব প্রতিদ্বন্দ্বীকেই।
নিজের সাফল্যে উচ্ছল হয়ে ওঠা লিসান তাই বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষানবিশ অবস্থায় বেতন পাচ্ছি ৯৬ হাজার টাকা। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেতন আরো বাড়বে।
বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি মেরিন একাডেমি শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইনস্টিটিউট এর প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী লিসান। প্রথম বছরের পড়ালেখা শেষে শাহ মেরিন একাডেমির তত্ত্বাবধানেই ইংল্যান্ডের সাউথ টাইন সাইড কলেজে পড়তে যান তিনি। সাউথ টাউন সাইড কলেজে পড়ালেখা শেষে পেয়ে যান ব্রিটিশ সার্টিফিকেট।
মেরিন ক্যাডার হিসেবে আন্তর্জাতিক চাকরি বাজারের দরজা উন্মুক্ত হয়ে যায় আশরাফুলের জন্য।
এসব বিষয়ে শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শাহ মমিনুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস একাডেমি মূলত ব্রিটিশ-বাংলাদেশ যৌথ প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা হয়েছে। এই একাডেমির প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রথম বছর বাংলাদেশে পড়ালেখা শেষ করে দ্বিতীয় বছরের পড়ালেখা শেষ করেন ইংল্যান্ডের সাউথ টাউন সাইড কলেজে। তাদের সব সার্টিফিকেটও হয় ব্রিটিশ। ফলে চাকরির বাজারে এখানকার শিক্ষার্থীদের চাহিদা বেশি।
আশরাফুলের মতো বিশ্ব দরবারে নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে জিপিএ ৩.৫ অর্জন করলেই শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস একাডেমিতে ভর্তি হওয়া যাবে।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে জানানো হয়, এখানকার শিক্ষার্থীরা ইংল্যান্ডে পড়ালেখা শেষে দেশে ফিরে সিডিসি নিয়ে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, ইনান, কোরিয়া ও কাতারের বিভিন্ন বিদেশি জাহাজ কোম্পানিতে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করছেন। ইংল্যান্ডে পড়াশোনার পর শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস একাডেমি থেকেই সব শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন জাহাজে চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে।
শাহ মমিনুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের যতো শিক্ষার্থী এ পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করেছেন তাদের কেউই বেকার নেই। আমরা জাহাজ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং এখনো করছি- যাতে বাংলাদেশি মেরিন একাডেমির শিক্ষার্থীদের কাজ দেয়। আর আমাদের এখানে পড়ালেখা করলে তার চাকরির ব্যবস্থা আমরাই করে থাকি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪