টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অনৈতিকভাবে সহায়তার দায়ে ১৬ জনকে আটক করেছে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার সকালে শহরের কুমুদিনী কলেজ সংলগ্ন মহব্বত হোসেন ছাত্রাবাস থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রসহ ১৬ ছাত্রকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, মোবাইল রিসিভার, মোবাইল সিম, ওয়ারলেস ডিভাইস, মাইক্রোএয়ার চিপ, বিশেষ কায়দায় তৈরি ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত স্যান্ডো গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন, এ ইউনিটের পরীক্ষার্থী বগুড়ার সদর থানার সুলতানগঞ্জ গ্রামের আলী রাজি, বি ইউনিটের পরীক্ষার্থী পাবনা জেলার বেড়া থানার ভাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন, একই ইউনিটের সিরাজগঞ্জ জেলার সাহাজাতপুর থানার শাকতোলা গ্রামের আতাউর রহমান, জামালপুরের সরিষাবাড়ি থানার পিংনা গ্রামের ফজলে এলাহি, দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার নতুন বাজার গ্রামের মো. মাহাতাব হোসেন, এ ও বি ইউনিটের পরীক্ষার্থী টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মো. জাকারিয়া মোমেন জনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র শেরপুরের নকলা উপজেলার ইশিবপুর গ্রামের রাকিবুল হাসান কার্জন, সরকারি সা’দত কলেজের ছাত্র টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার হারুবাড়ি গ্রামের রাজু আহম্মেদ, একই উপজেলার সামনা উত্তর পাড়ার শাহ সালাউদ্দিন, একই গ্রামের ফেরদৌস আলম শুভ, একই থানার ব্রাহ্মণ শাসন গ্রামের মো. শাহআলম।
মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ড. খাদেমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে সন্তোষ জাহ্নবী স্কুল কেন্দ্রে এক ছাত্রের কানে বিশেষ কায়দায় রাখা ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে উচ্চ শব্দে প্রশ্নের উত্তর শোনা যায়।
পরে ওই ছাত্রকে জেরা করে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ বিভিন্ন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন ছাত্রকে আটক করে। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে শহরের কুমুদিনী কলেজ সংলগ্ন মহব্বত হোসেন ছাত্রাবাস থেকে ১৬ জনকে আটক ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, আটকরা জানিয়েছেন, তারা দুই লাখ টাকার চুক্তিতে নির্দিষ্ট ছাত্রদের জন্য এই জালিয়াতির আশ্রয় নেয়। তারা ছাত্রদের কানে বিশেষ কায়দায় মাইক্রোএয়ার চিপ ব্যবহার করে পরীক্ষার প্রশ্নের সঠিক উত্তর বলে দিচ্ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৪/আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা