ইবি: বাস ভাংচুরের প্রতিবাদে পরিবহন মালিকদের ডাকা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ রুটের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে মালিক সমিতির নেতারা।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের মালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার।
সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্র নিহতের ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ওই রুটের গাড়িতে ভাংচুর চালায়।
উপাচার্য বলেন, আমরা মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে একটা সমঝোতায় পৌঁছেছি। তারা সোমবার রাত থেকে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগ ত্যাগ করতে হবে এবং বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হবে।
একই সঙ্গে রোববারের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেনকে আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান উপাচার্য।
এদিকে মালিক পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় বুধবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দেওয়া হলেও বন্ধ করা হচ্ছে আবাসিক হলসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম। এঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সাধারণ শিক্ষর্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু রেখে হল বন্ধের প্রতিবাদে কঠোর আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছে তারা।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের জীবন নিয়ে খেলা শুরু করেছেন। তারা মালিক পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করে অফিস চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। কারন সেখানে মূল্যবান ফাইল পাশ হবে। কিন্তু আমাদের শিক্ষা জীবনের তো কোনো মূল্য নাই তাদের কাছে। আমাদের ভাই মরবে, পুলিশ আমাদের উপর গুলি চালাবে, পরিবহনের সন্ত্রাসীরা মারধর করবে, লুট করবে তবু আমাদের নামে মামলা হবে। ’
ওই শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ‘মালিক সমিতির সঙ্গে সমঝোতার পরেও তারা (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে আমরা হল ছাড়বো না। তারা অফিস চালাবে আর আমাদেরকে জটে ফেলবে তা হবেনা। প্রয়োজনে আমরা কঠোর আন্দোলন করবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৪