ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক অপর শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকদের ডাকলো ঘটনা তদন্তের কাজে নিয়োজিত কমিটি।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সাংবাদিকদের সাথে পৃথক পৃথক বৈঠকে ১৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে শিক্ষক কর্তৃক অপর শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা এবং পরবর্তীতে এ ঘটনায় ছাত্রদের মাঝে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া সর্ম্পকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তদন্ত কমিটি।
সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত জাতীয় বিভিন্ন দৈনিকের প্রতিনিধিদের সাথে পৃথকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সকাল ১১টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন তদন্ত কমিটির দুই সদস্য।
উপস্থিত ছিলেন সকালের খবর এর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মীর তাওহীদ-উল-ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিদিন এর প্রিন্স বিশ্বাস, যুগান্তরের মাহসাব রনি, প্রথম আলোর আলিফ-উর-রহমান, সমকাল এর আশিকুর রহমান, সহ বিভিন্ন দৈনিকের প্রতিনিধিরা।
এ ব্যাপারে প্রফেসর ড. মো. হযরত আলী বাংলানিউজকে জানান, ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের সাথে পৃথকভাবে কথা বলেছি।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মীর তাওহীদ-উল-ইসলাম বলেন, সঠিক তদন্তের মধ্য দিয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবে আমরা তা আশা করি।
গত ১৯ নভেম্বর রাতে হলে আসন বরাদ্দকে কেন্দ্র করে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. অসীম কুমার ভদ্রের সাথে একই হলের সহকারী প্রভোস্ট শরমিন চৌধুরী শৈলীর বাকবিতন্ডা হয়। পরে এ খবর শুনে তার স্বামী শেকৃবি’র অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম অসীম কুমার ভদ্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, যার মেয়াদ বুধবার পর্যন্ত থাকলেও আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৪