ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’ করা হয়েছে।
কিন্তু নাম পরিবর্তনের ছয় মাস চলে গেলেও হলের প্রধান ফটকে এখনো লেখা রয়েছে আগের নাম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’।
গত জুনে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে সর্বসম্মতিক্রমে হলের পরিবর্তিত নাম পাশ হয়।
সম্প্রতি ওই হলের প্রবেশ মুখে নতুন একটি গেট করা হয়েছে। সেখানে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’ লেখা হয়েছে। কিন্তু পুরনো নামটি পরিবর্তন করা হয়নি গেট থেকে।
এদিকে হলের নাম পরিবর্তন হলেও ওই হলের অনেক শিক্ষার্থীই সেটা জানেনা বলে অভিযোগ করেছেন। আবার দুই গেটে দুই ধরনের নাম লেখা দেখে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন অনেক আবাসিক শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গত ১৭ মার্চ হল চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে ওই হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান হল’ করার প্রস্তাব দেয় হল শাখা ছাত্রলীগ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত জুনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট ওই হলের নাম পরিবর্তন করে।
এরইমধ্যে কাগজে কলমেও ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’ লেখা হচ্ছে। বিভিন্ন বিভাগে ফল প্রকাশের লিস্টেও শোভা পাচ্ছে নতুন নাম।
কিন্তু হলের মূল ফটকে এখনো রয়েছে আগের নামই।
সিন্ডিকেটে সর্বসম্মতি ক্রমে নাম পরিবর্তন হওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার সৈয়দ রেজাউর রহমান এবং ওই হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. বায়তুল্লাহ কাদেরীও।
এতদিনেও হলের প্রধান ফটকের নাম পরিবর্তন না করার কারণ জানতে চাইলে প্রভোস্ট বায়তুল্লাহ কাদেরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স কমিটিতে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তারা অনুমোদন দিলে টেন্ডার হবে। এরপর ওটা পরিবর্তন করা হবে। সব মিলিয়ে তিন/চারমাস লেগে যেতে পারে। ’
তবে ওই হলের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, প্রভোস্টের গাফিলতিতেই ওই কাজ এতদিন বিলম্ব হয়েছে। প্রভোস্ট হল সংশ্লিষ্ট সব কাজেই
গাফিলতি করেন বলেও অভিযোগ তাদের।
বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দারুস সালাম শাকিল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বারবার প্রভোস্ট স্যারকে বলেছি কিন্তু কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি।
তিনি সব কাজেই এমন গাফিলতি করেন। সর্বশেষ গত ২৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু মেধা পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ভিসি স্যার হলে আসলে আমরা তাকেও জানিয়েছি বিষয়টি।
ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট হলের নাম পরিবর্তন করলেও প্রভোস্টের গাফিলতিকে দুঃখ জনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদও।
এ ব্যাপারে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাইরের গেটে যে নাম লেখা রয়েছে সেটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল নাম। ’
দুই গেটে দুই ধরনের নাম লেখার বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, ওটা পরিবর্তন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৪