ঢাবি: সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় জড়িত থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত মিজানুর রহমান ওরফে মিজান পরীক্ষা দিলেন।
গত ৩ ও ৬ ডিসেম্বর কলা ভবন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় জড়িত থাকায় ১৫ জুলাই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সূর্যসেন হলের মিজানুর রহমানকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে ঢাবি প্রশাসন। কিন্তু বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করা সত্ত্বেও পাঁচ মাসের মাথায় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিনি।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। চলতি চতুর্থ সিমেস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ৩৫৮১। তিনি গত ৩ ও ৬ ডিসেম্বর কলা ভবন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী কোনো বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হলে কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের চিঠি আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছি। সে চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার পত্রও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কোনো বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী পরীক্ষায়ই নয় কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ না নিতে পারার ব্যাপারটিও নিশ্চিত করেন তিনি।
প্রক্টর অফিস থেকে ইস্যু করা চিঠির ব্যাপারে জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারি বাংলানিউজকে বলেন, চিঠির ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। তবে চিঠি আসতে পারে। কারণ সব বিষয়তো চেয়ারম্যানকে জানানো হয় না। তাই জানাতে পারছিনা।
চিঠির ব্যাপারে খোঁজ নিতে তিনি রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান কেরানির সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
শিক্ষার্থীদের সমস্ত রেকর্ড ঘেটে প্রবেশপত্র প্রদানের দায়িত্ব পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের। কিন্তু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস বলছে তারা ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের ব্যাপারে রোববার সকাল পর্যন্ত কোনো চিঠি পাননি।
ঢাবির প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহলুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা রোববারের আগে কোনো চিঠি পায়নি। তবে যদি এমন কোনো ঘটে থাকে তবে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবেনা। আর দিলেও ফল প্রকাশ করা হবেনা।
১৩ জুলাই ক্যাম্পাস এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অন্তত ১০ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোবারকের গ্রুপের কিছু কর্মী। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই মিজান।
পরে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিজানকে এক বছরসহ ১০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও শোকজ করে।
ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয় এসব কর্মীকে। পাশাপাশি সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটিও স্থগিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৪
** সন্ত্রাসী, চোর, বখাটে, মাদক ব্যবসায়ী সূর্যসেন ছাত্রলীগ