ঢাকা: সিরাজগেঞ্জের সদর উপজেলার রাজিবপুর দাখিল মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার বিচারপতিপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগ বেঞ্চ শুনানি শেষে এমপিও ভুক্ত করার আদেশ বহাল রাখেন।
রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাজিকাল জলিল, বাদী মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবু লাইসের পক্ষে ছিলেন সাবেক বিচারপতি মোজাম্মেল হক(এমএম হক)।
এখন আর মাদ্রাসাটির শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন পেতে আর কোনো বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন মামলার অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড এম আশরাফুজ্জামান খান।
জানা যায়, ভাল ফলাফল, মাদ্রাসার অবস্থান, শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত সব মিলে গত মহাজোট সরকারের সময় করা প্রথম এমপিও তালিকায় স্থান পায় ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসাটি। সে অনুযায়ী এমপিওভুক্তির সার্বিক কাজও সম্পন্ন হয়। পরে এমপিওতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। যদিও মাদ্রাসাটিকে এমপিওভুক্ত করতে ওই সময়কার স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় এবং একই সময়ের পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারের সুপারিশ ছিল।
পরে মাদ্রাসা সুপার হাইকোর্টে সরকারের এ সিদ্ধান্তে রিট আবেদন করেন। হাইকোট বেঞ্চ মাদ্রাসাটিকে এমপিওভুক্তি করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাদ্রাসাটিকে এমপিওভুক্তি না করে উচ্চ আদালতে আপিল করে।
মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবু লাইস বাংলানিউজকে বলেন, আশা করছি এখন আমাদের কষ্টের দিন শেষ হবে। সেই ২০০০ সাল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা বিনাবেতনে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মাঝখানে এমপিওভুক্ত হয়েও হতে পারিনি। তারপরও আমাদের মনোবল ভেঙে যায়নি। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের মান ধরে রেখেছি। পরপর ৩ বছর বোর্ড পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের জন্য এবার আমরা বিশ্বব্যাংকের সেকায়েপ প্রকল্পের সেরা প্রতিষ্ঠান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। শিক্ষকরা পেয়েছেন নগদ ১ লাখ টাকাও। এমপিওভুক্তি পেলে শিক্ষা মান আরও বাড়ানো সম্ভব হবে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাদ্রাসাটিকে এমপিওভুক্ত করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি অনুরোধও জানান তিনি।
** সেরা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি সিরাজগঞ্জের রাজিবপুর দাখিল মাদ্রাসার
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৪