ঢাকা: ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও জানা যাবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফল হস্তান্তরের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর ফল পেতে DPE/EBT স্পেস প্রার্থীর নিজ উপজেলা/থানার কোড নম্বর স্পেস রোল নম্বর স্পেস পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bd ফল পাওয়া যাবে।
এছাড়া www.dpe.gov.bd অথবা http://dperesult.teletalk.com.bd ব্রাউজ করে ইন্টারনেটে ফলাফল পাওয়া যাবে।
উপজেলা/থানার কোড নম্বর জানতে www.teletalk.com.bd ভিজিট করতে হবে।
জেএসসির ফল পেতে JSC/JDC স্পেস প্রার্থীর নিজ বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস রোল নম্বর স্পেস পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। যেমন- JSC Dha 223657 2014 এবং Send করুন 16222 নম্বরে।
ইন্টারনেটে জেএসসি-জেডিসির ফলাফল পাওয়া যাবে http://www.educationboardresults.gov.bd এই ঠিকানায়।
জেএসসি-জেডিসি পুনঃনিরীক্ষণ
শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। এজন্য মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে RSC স্পেস বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস রোল স্পেস বিষয় কোড স্পেস ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। আবেদনে সম্মত থাকলে RSC স্পেস Yes পিন স্পেস কনট্রাক্ট নম্বর (যেকোনো অপারেটর) লিখি আবার ১৬২২২ তে পাঠাতে হবে।
একটি এসএমএস দিয়ে একাধিক বিষয়ে আবেদন করা যাবে। সেক্ষেত্রে বিষয় কোডের পর কমা (,) ব্যবহার করতে হবে। প্রতিপত্রের জন্য ১২৫ টাকা চার্জ ধরা হবে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে।
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় এবার ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৫ জন এবং জেডিসিতে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭ জন।
গত ২ নভেম্বর থেকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জামায়াতের হরতালের কারণে তা ৭ নভেম্বর থেকে শুরু করা হয়। হরতালের কারণে জেএসসি-জেডিসির চার দিনের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। ১৮ নভেম্বর এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০ নভেম্বর তা শেষ হয়।
আর প্রাথমিক সমাপনীতে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৪ জন ও ইবতেদায়িতে ৩ লাখ ১১ হাজার ২৬৫ জনসহ মোট ৩০ লাখ ৯৯ হাজার ৮০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গত ২৩ নভেম্বর শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর শেষ হয় এই পরীক্ষা।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। আর ইবতেদায়ীতে এই পরীক্ষা শুরু হয় ২০১০ সালে। প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল দেওয়া হচ্ছে। গত বছর থেকে এই পরীক্ষার সময় আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪