সিলেট: ২০১৪ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা, পাসের হার, জিপিএ-৫ ও প্রাপ্ত পয়েন্টের ভিত্তিতে সেরা ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড।
সেরা ২০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় সিলেট নগরী ও জেলার ৯টি, মৌলভীবাজার জেলার ৫টি, হবিগঞ্জ জেলার ৫টি এবং সুনামগঞ্জ জেলার একটি প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) জেএসসি ফল প্রকাশ করা হয়। এতে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার পরীক্ষায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৫৭। যা গতবার ছিল ৯১ দশমিক ১৫।
এবার প্রথমস্থান দখলে করে নিয়েছে গতবারের ২য় স্থানে থাকা জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
তাদের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৯২ দশমিক ৬৮। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২ পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯৪ জন।
৯১ পয়েন্ট নিয়ে ২য় স্থানে নেমে এসেছে গতবারের প্রথম স্থানে থাকা সিলেট ক্যাডেট কলেজ। তবে এ কলেজের ৫২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে ৩য় স্থানে। এ বিদ্যালয়ের ২৫২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছে। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৯ জন।
প্রাপ্ত পয়েন্ট ৮৪ দশমিক ৮১। এই প্রতিষ্ঠানটি গতবারের সেরা ২০-এর মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে ছিল।
৮৩ দশমিক ৪০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ হয়েছে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের ২৫০ শিক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৭ জন।
৮০ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে রয়েছে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। গত বারের ফলাফলে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান ছিল অষ্টমে। ২৩০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩০। পাসের হার শতভাগ।
৮০ দশমিক ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সিলেটের ব্লু বার্ড হাই স্কুল। ২৬৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৮ শিক্ষার্থী।
সপ্তম স্থানে রয়েছে সিলেটের স্কলার্স হোম। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৯ দশমিক ০৮। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৬০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ জন।
৭৭ দশমিক ২৭ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে জালালাবাদ ক্যানটনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল। ১১৩জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬০ জন।
৭৭ দশমিক ২২ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে হবিগঞ্জ সদরের বি কে জি সি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানের ২৫৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৩ জন।
৭৫ দশমিক ০২ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বি এ এফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
১২০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৫ জন। পাসের হার শতভাগ।
বড়লেখা উপজেলার রোকেয়া খাতুন লাইসিয়াম স্কুলের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৪ দশমিক ৮৬। ৮১জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন।
দ্য ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাই স্কুল থেকে ১১৭জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১১৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৭ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৪ দশমিক ৭৪।
সিলেট বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬ জন। ৩৫জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৩ দশমিক ৪৬।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের দি-বার্ডস রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৫২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৫০ জন। ৫১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পয়েন্ট অর্জন করেছে ৭১ দশমিক ৩২।
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের হোমল্যান্ড আইডিয়াল স্কুলের ৪৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭১ দশমিক ৩২।
সেন্ট মাদারস জুনিয়র স্কুলের ৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন। এ বিদ্যালয়ের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭০ দশমিক ৭৯। পাশের হার শতভাগ।
সিলেটের শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ২২৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬০ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭০ দশমিক ৭৭।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৫৭ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭০ দশমিক ৪৬।
শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড হাই স্কুলের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৬৯ দশমিক ৮৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন। পাসের হার শতভাগ।
সুনামগঞ্জ সরকারি এস সি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ২০তম অবস্থানে রয়েছে।
২১৪জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন। তাদের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৬৯ দশমিক ৭১।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪