ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় রাস্তায় পাহারা দিন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৫
‘পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় রাস্তায় পাহারা দিন’ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

ঢাকা: নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় দেশবাসীর কাছে রাস্তায় রাস্তায় পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সূচি অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে সারা দেশে অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষায় ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।



পরীক্ষা উপলক্ষে সোমবার (৩০ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্ব‍ান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, গত এসএসসি পরীক্ষার সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, যারা হরতালের সঙ্গে নেই এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন, সমাজসেবী এবং সাধারণ মানুষ যার যার এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে ছেলে-মেয়েদের কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তায় পাহারা দিয়েছে।

‘আশা করছি, এবারও যাতায়াতের পথে সাহায্য করবেন, যাতে নিরাপদে তারা কেন্দ্রে যেতে পারে। নিরাপদে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন সমস্ত ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। ’

এসএসসিতে হরতালের কারণে শুক্র ও শনিবার পরীক্ষা নেওয়া হয়।

এসএসসিতে শিক্ষার্থীরা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাস্তবে হরতাল হয়নি হয়নি। কর্মসূচির নামে অতি দরিদ্রতার শিকার মানুষকে পেট্রোলবোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে। যারা আহত হয়েছে তাদের বেঁচে থাকাটাও কষ্টসাধ্য।

‘যারা হরতাল দিয়ে পরীক্ষায় বাধা সৃষ্টি করেছেন তাদের কাছে আহ্বান জানাবো, তিন মাসের অভিজ্ঞতা, মানুষের মনোভাব এবং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করার ব্যবস্থা করবেন। পরীক্ষার দিন হরতাল দেবেন না। এতে তারা ছোট হবেন না, বরং বড় হবেন,’ যোগ করেন তিনি।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সুদৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণে এরইমধ্যে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, উপজেলা প্রশাসন ও ওসিকে চিঠি দিয়েছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র তৈরি, বিলি-বণ্টনের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সবাই নজরদারিতে আছেন। ফেসবুকসহ কোচিং সেন্টারে নজরদারিতে আনা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরীক্ষা কেন্দ্রের আশ-পাশে ফটোকপি মেশিন বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়লেও এবার এইচএসসিতে কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। দুই হাজার ৪১৯টি কেন্দ্রে আট হাজার ৩০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

২০১৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন। গত বছরের তুলনায় এবার ৬৭ হাজার ৪৯০ জন পরীক্ষার্থী কমেছে।

এবার মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২০১টি, কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি।

পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোন দেশে নিম্ন শ্রেণিতে যতো সংখ্যা থাকে উচ্চ শ্রেণিতে ততো সংখ্যা থাকে না। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম। ড্রপ আউটের সংখ্যা বেশি ছিল, আস্তে আস্তে তা কমে যাচ্ছে।

‘সংখ্যা কমে যাওয়ার বড় কারণ হলো এই ব্যাচটা প্রথম জেএসসি দিয়েছিল, সৃজনশীল প্রশ্নের প্রভাব থাকতে পারে, এটা আমরা খতিয়ে দেখবো। আর ২০১৩ সালে পাসের সংখ্যা কম ছিল। অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা পরের বছর পরীক্ষা দিয়েছিল, এজন্য গত বছর বেড়ে যায়। এবার অনিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম,’ যোগ করেন তিনি।

আগামী ১ এপ্রিল তত্ত্বীয়’র মাধ্যমে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা চলবে ১১ জুন পর্যন্ত। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২২ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

এবার ২৫টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর আবশ্যিক বিষয় হিসেবে প্রথমবারের মতো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসসিটি) বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা সাধারণদের থেকে অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন বলে জানানো হয়েছে।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিবের দায়িত্বে পরীক্ষার সময়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু থাকবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তার মুঠোফোন নম্বর- ০১৭১১-৩১৭ ১৩৬।

এছাড়া নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০২ ৯৫৪৯৩৯৬, ০১৭৭৭-৭০৭৭০৫ ও ০১৭৭৭-৭০৭৭০৬ নম্বরেও যোগাযোগ করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।