ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মা, তোমাকে অনেক ভালোবাসি!

মাসুদ আজীম, গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৫
মা, তোমাকে অনেক ভালোবাসি!

সাভার (ঢাকা): ‘বিস্ময়ের এ সৃষ্টি জগতের মহাবিস্ময় প্রিয় মা। সন্তান দূরে-থাকুক, কাছে থাকুক- অবহেলা করুক-অবজ্ঞা করুক, সবসময় তার জন্য আকুল-ব্যাকুল থাকেন মমতাময়ী মা।

সন্তানের তরে সাত সমুদ্র- সাত আকাশসম ভালোবাসা বিলানো জননী মাকে কখনো বলা হয় না ভালোবাসি। কিন্তু আজকের এ বিশেষ দিনে শতো কিলোমিটার দূরে থেকে মাকে বিশেষভাবে অনুভব করছি। মা, তোমাকে ভালোবাসি, অনেক অনেক ভালোবাসি!’

প্রিয় মায়ের প্রতি এভাবেই ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করছিলেন তন্ময়। তিনি সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী। বাড়ি যশোরে। রোববার (১০) বিশ্ব মা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তন্ময়সহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল বাংলানিউজের। তন্ময়ের মতো প্রায় সবাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাভারে এসে পড়াশোনা করছেন। মা দিবসে প্রিয় মায়ের প্রতি ভালোবাসা অনুভূতি প্রকাশ করছিলেন তারাও।

তন্ময় বলেন, ‘মায়ের ভালোবাসার পরিমাপ করা অসম্ভব। তিনি সন্তানের তরে জীবনও বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। অথচ মাকে কখনোই বলা হয় না ভালোবাসি। আজ শতো কিলোমিটার দূরে থেকে মাকে অনুভব করছি বিশেষভাবে। মাকে সত্যিই অনেক ভালোবাসি। ’

মাকে নিয়ে তন্ময়ের অনুভূতির সঙ্গে গলা মেলান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী তানিয়া আহমেদ তন্বী। তন্বী অবশ্য মার সঙ্গেই সাভারে থাকেন। তিনি বলেন, ‘যার মাধ্যমে পৃথিবীর আলো দেখেছি এবং এখন কথা বলছি, তাকে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। মাকে আমি রত্নগর্ভা হিসেবে দেখতে চাই। দেখতে চাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। আমার মতে, মাকে ভালবাসার জন্য আলাদা দিবসের প্রয়োজন নেই। তবে, এই দিনে মাকে বলি- ‘মা তোমাকে অনেক ভালবাসি’। ’

একই বিভাগের রাজন সরকার টাঙ্গাইলের ছেলে। তিনি বলছিলেন, ‘সাভারে থাকলে মায়ের হাতের খাবার, আদর, শাসন সবকিছু অনেক বেশি মিস করি। প্রতিবছর এই দিনে মাকে তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটা উপহার দিই। এবার পরীক্ষার জন্য বাড়ি যেতে পারছি না। তাই মাকে খুব মনে পড়ছে। পড়াশোনার খাতিরে এই দিনটিতে তোমার পাশে থাকতে পারছি না বলে খুব খারাপ লাগছে মা। কিন্তু এতোদূরে থেকেও বাতাসে উড়িয়ে দিই ভালোবাসা, ‘মা তোমাকে ভালোবাসি’।

ইংরেজি বিভাগের তাহমিনা দিশা বলেন, ‘মাকে সেই শৈশব থেকে কতোটা ভালো লাগার মুহূর্ত উপহার দিতে পেরেছি সেটা সত্যি মনে করতে পারি না। আবার ভালোবাসি কথাটি  মাকে কোনোদিন বলা হবে কিনা তাও জানি না। কিন্তু আজ এই দিনে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে তাকে বলতে চাই, সত্যি অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি তোমায় মা। ’

মানিকগঞ্জের ছেলে বাংলা বিভাগের ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘মা তো মা। তার কোনো তুলনা নেই। তিনিই মা, তিনিই বন্ধু, তিনিই প্রিয় মানুষ। তার সঙ্গেই সব গল্প করি। প্রতি মা দিবসে তাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াই। এবার পারছি না পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষা শেষ হলেই বাড়ি গিয়ে মাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোবো। ’

সোনারগাঁওয়ের আশরাফুল আলম পড়েন ফিজিওথেরাপি বিভাগে। তিনি বলছিলেন, ‘মা স্বর্গীয় উপহার। এতো দূরে থাকলেও কখনো মনে হয়নি মাকে ছাড়া আছি। কারণ, জানি তার দোয়া সবসময় আমার সঙ্গে আছে, তার সঙ্গে ফোনে কথা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে সময়ে সময়ে আমি কী করছি না করছি- মা সব খোঁজখবর নেন। মায়ের কাছে সব গল্প করলেও দুঃখগুলো লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি বুঝে যান। আজ এ বিশেষ দিনে মাকে বলতে চাই, ‘মা, আমি ভাল আছি, তুমিও ভাল থাকো, আর তোমাকে অনেক ভালবাসি ‘। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।