ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবিতে ছাত্রীকে মারধর, জড়িত ছাত্রের শাস্তি দাবি

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৫
ইবিতে ছাত্রীকে মারধর, জড়িত ছাত্রের শাস্তি দাবি

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি)  ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তন্ময় সাদ্দাম নামে এক ছাত্র হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
 
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িত ছাত্রের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।

 
 
সাদ্দাম ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
 
প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামের পেছনে ওই ছাত্রীর সঙ্গে সাদ্দামের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাদ্দাম বেপরোয়াভাবে তাকে কয়েকটি লাথি মারে এবং হাতের গিটার দিয়ে মারধর করে।
 
একপর্যায়ে মেয়েটি মাটিতে পড়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে, চিকিৎসা শেষে সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আলতাফ হোসেনের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীকে আবাসিক হলে পাঠানো হয়।
 
মারধরের শিকার ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, সাদ্দাম ছয় মাস ধরে আমাকে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু আমি রাজি হইনি। বর্তমানে তার আর আমার মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সেই সূত্রে রোববার সকালে সে আমাকে জিমনেসিয়ামের পেছনে ডাকে। সেখানে গেলে সাদ্দাম আমাকে হঠাৎ করে মারধর শুরু করে। সে বলে আমি অন্য ছেলেদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলি। এর প্রতিবাদ করলে সাদ্দাম আমাকে লাথি মারা শুরু করে। এক পর্যায়ে আমি মাটিতে পড়ে গেলে সে তখোনো আমাকে লাথি মারতে থাকে। এ সময় সাদ্দাম মাদকাসক্ত ছিল। আমি চাই তার উপযুক্ত শাস্তি হোক।
 
ওই ছাত্রীকে উদ্ধারকারী কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি দেখতে পাই, সাদ্দাম মেয়েটিকে লাথি মারছে এবং গিটার দিয়ে মারছে। একপর্যায়ে মেয়েটি মাটিতে পড়ে গেলেও সাদ্দাম তাকে লাথি দিতে থাকে। এ সময় কয়েকজন সাধারণ ছাত্র মেয়েটিকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে সাদ্দাম তাদের মারতে তেড়ে আসে। এ সময় আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে যাই। এবং ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে জানাই।
 
এ ঘটনায় সাদ্দামের শাস্তির দাবিতে ওই ছাত্রী বিভাগীয় সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আলতাফ হোসেন স্বীকার করেছেন।
 
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেই মেয়েটির সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট দুই বিভাগের সভাপতিকে ব্যবসায় অনুষদের ডিনের সহযোগিতায় এ ঘটনার বিচারের দায়িত্ব দিয়েছি। এক্ষেত্রে যদি তারা চায় তাহলে আমরা প্রশাসনিকভাবে সহযোগিতা করবো।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৫  
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।