শাবিপ্রবি: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্রকাশিত শ্বেতপত্র দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’র ব্যানারে এ শ্বেতপত্র প্রকাশের পর উপাচার্য তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি বলেন, আমি প্রকাশিত অভিযোগ প্রত্যাখান করেছি। এসব অভিযোগ অতিরঞ্জিত, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা চলছে উল্লেখ করে সবাইকে এ বিষয়ে সজাগ থাকার আহবান জানান উপাচার্য। একইসঙ্গে আন্দোলনকারীদের এ অবস্থা থেকে সরে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
উপাচার্য সাফ জানিয়ে দেন, তিনি চার বছর দায়িত্ব পালনের জন্যে এসেছেন, মেয়াদ শেষ করেই যাবেন।
তার অপসারণের দাবিতে বুধবার (২৪ জুন) সকাল থেকেই উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’র আহ্বায়ক ড. সৈয়দ সামসুল আলম উপাচার্যের ‘দুর্নীতির শ্বেতপত্র’ পাঠ করেন।
শ্বেতপত্রে আর্থিক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, নীতিমালা ভঙ্গ করে নিয়োগ, শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, উন্নয়ন পরিকল্পনা না নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। একইসঙ্গে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের নানাবিধ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনকারীদের
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় নতুন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ড. সৈয়দ সামসুল আলম। তিনি ঘোষণা দেন, শুক্র ও শনিবার (২৬ ও ২৭ জুন) একইস্থানে অবস্থান কর্মসূচি এবং রোববার (২৮ জুন) উপাচার্যের বাসভবনের উদ্দেশে পদযাত্রা ও বাসভবনের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে, চলমান সংকটের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি কবির হোসেন বাংলানিউজকে বলেছেন, শিক্ষক সমিতিতে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে।
আর নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি ও সহকারী প্রক্টররা দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৫
এইচএ