ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে

বছর ১ লাখ টন মাছ উৎপাদন বাড়াতে হবে

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৫
বছর ১ লাখ টন মাছ উৎপাদন বাড়াতে হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাকৃবি: ২০২১ সালের মধ্যে বছরে ৪৫ লাখ মেট্রিক টন মাছ চাষ হবে -২০১৪ সালে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে মৎস্য অধিদপ্তর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবছর এক লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন বাড়াতে হবে বলে অভিমত মৎস বিজ্ঞানীদের।



সোমবার (০৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে এ অভিমত দেন তারা।

বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহেরের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলী আকবর।

মৎস চাষে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের গবেষণার অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরের গবেষণা প্রকল্প প্রণয়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক এম আই গোলদার।

সেমিনারে বক্তারা জানান, দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৎস্য বিষয়ক গবেষণা ও মৎস্য চাষ। এর ফলে বাংলাদেশ এখন মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

বর্তমান সময়ে সরকার মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে নতুন নতুন প্রকল্প বরাদ্ধ দিচ্ছে। সম্প্রতি বিদেশে ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন কুচিয়া-কাঁকড়া চাষে নতুন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। আর এসব প্রকল্পের গবেষণা ও নতুন চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বিএফআরআই।

২০২১ সালের মধ্যে ৪৫ প্রতিবছর লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য প্রতি বছর এক লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন বাড়াতে হবে।

বক্তারা আরো জানান, দেশের মৎস্য সম্পদ নিয়ে গবেষণার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বিদেশে চাহিদা সম্পন্ন মাছের উৎপাদন বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বিপন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও এ বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণা কাজ চলমান রয়েছে। এসব গবেষণার ফলাফল মাঠ পর্যায়ে চাষীদের মধ্যে সুফল বয়ে আনবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বিএফআরআইয়ের পরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, স্বাদু পানির কেন্দ্রের চলমান গবেষণা প্রকল্পের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- বিএফআরআইয়ের স্বাদুপানির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খলিলুর রহমান।

এছাড়া, সেমিনারে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী, মৎস্য খামারি, চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে বাংলাদেশের মৎস্য গবেষণার অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে গবেষণাধর্মী ৩২টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৫     
এমজেড/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।