রাবি(রাজশাহী): বন্ধুদের সঙ্গে নাটোরের হালতি বিলে নৌকা ভ্রমনে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসানের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাবনার সাথিয়া উপজেলার পুরান ধুলাওয়াড়ী গ্রামে তার লাশ দাফন করা হয়।
জাহিদের ভাই আবু সাঈদ বাংলানিউজকে জানান, রাতে জাহিদের গ্রামের বাড়ি পাবনার সাথিয়া উপজেলার পুরান ধুলাওয়াড়ী গ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। এর আগে রাত পৌনে ১০টার দিকে পুরান ধুলাওয়াড়ী ঈদগাহ মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাহিদের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে। এসময় সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। জাহিদের মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের মাতম দেখা দিয়েছে। অকালে জাহিদকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
দরিদ্র কৃষক আমিন উদ্দিনের চার মেয়ে ও তিন ছেলের মধ্যে জাহিদ ছিলেন সবার ছোট। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন বাংলানিউজকে জানান, ‘নাটোর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জাহিদের পরিবারের সদস্যদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে তার লাশ গ্রামের বাড়ির পথে রওনা হয়।
এদিকে, একই ঘটনায় গুরুতর আহত জাহিদের সহপাঠী আলিফ জাহান রিপন ও বৈশাখী আকতারকে নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) স্থানান্তর করা হয়েছে। রিপন রামেকের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে এবং বৈশাখী ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নাটোরের হালতি বিলে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান জাহিদ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৫
পিসি