ঢাকা: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১২ সালের এমবিবিএস কারিকুলাম অনুযায়ী, গত মে মাসের প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অকৃতকার্যরা তাদের মূল ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস করতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। তবে সিদ্ধান্ত কার্যকর শুধু চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য।
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয়গুলো পাস ও অন্য শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তারা ২০১৬ সালের মে মাসের দ্বিতীয় পেশাগত পরীক্ষায় নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি পাবেন।
শনিবার (০৮ আগস্ট) সচিবালয়ে মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন কারিকুলাম বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী জানান, সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে ক্লাসে ফিরে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সম্পূর্ণ সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মেডিকেল শিক্ষার মান আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে কারিকুলাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। অভিবাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, বিএমডিসি’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবু শফি আহমেদ আমিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিগগিরই একটি গণমূখী ও যুগোপযোগী জাতীয় ওষুধনীতি-২০১৫ চূড়ান্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। চলতি মাসের মধ্যে এ নীতি প্রণয়ন করে দ্রুত মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মে. জে. মোস্তাফিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক নূর হোসেন তালুকদারসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওষুধশিল্প আজ বিশ্ব বাজারকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। প্রায় ১শ দেশে আজ আমাদের ওষুধ রফতানি হচ্ছে। এ শিল্পের প্রসারে সরকার সব ধরনের সহায়তা করতে চায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৫
এমআইএইচ/এসকেএস/এসএস