ঢাকা: প্রশ্ন প্রণয়ন ও সরবরাহের বিষয় সম্পর্কে না জানার অভিযোগ এনে সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা নিয়ে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে কত বড় অজ্ঞ, প্রশ্ন প্রণয়নের বিষয়টি জানে না, সেটি না জেনেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
রোববার (০৯ আগস্ট) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, না জেনে তারা (টিআইবি) কথা বলেন, সংবাদমাধ্যমেও সেগুলো ফলাও করে প্রচার করা হয়।
তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি যখন ঘটেছে, আমি নিজেও আপনাদের ফোন করে জানিয়েছি। অথচ তারা বলেছে, আমি নাকি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেয়েছি।
নাহিদ বলেন, প্রশ্ন প্রণয়ন থেকে শুরু করে যে ৪০টি ধাপের কথা তারা বলেছে, সেটা ঠিক নয়। বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন নিয়ে যান জেলা প্রশাসক। অত্যন্ত নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে প্রশ্ন নিয়ে যাওয়ার কাজ করা হয়। পরে সেসব প্রশ্ন সরাসরি পরীক্ষার হলে পৌঁছে দেওয়া হয়। অথচ টিআইবি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন বোর্ডে আসে। কত বড় অজ্ঞ হলে এ ধরনের কথা বলা যায়।
টিঅাইবির প্রতিবেদন বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রশ্ন ফাঁসের সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে বিজি প্রেসকে চিহ্নিত করি। তদন্ত করে আমরা সেটা চিহ্নিত করেছি। এ ঘটনা থেকেই তারা এ কথা বলেছে। আসলে জানে না কিছুই।
টিআইবি যেসব সুপারিশ করেছে সেগুলো আমাদেরই পরামর্শ ছিল প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোর জন্য। তারা সেগুলো নিজেদের সুপারিশ হিসেবে উল্লেখ করেছে বলেও দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এর আগে সংসদে শিক্ষামন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, গত পাঁচ বছরে প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। তার প্রতিক্রিয়ায় গত ৫ আগস্ট ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছিলেন, উট পাখির মতো দায় এড়িয়ে যাওয়া সমাধান নয়।
সম্প্রতি টিআইবির প্রতিবেদনে প্রশ্ন প্রণয়ন, ছাপানো ও বিতরণ প্রক্রিয়ার ৪০টি ধাপে কর্মপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়াকে সম্ভাব্য ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৫ (আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা)
এমএন/এমআইএইচ/বিএস/টিআই