ঢাকা: মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ও ডেন্টাল কলেজের বিডিএস কোর্সের ২০১৫ সালের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৪৮ হাজার ৪৪৮ শিক্ষার্থী। মোট পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৮২ হাজার ৯৬৪ শিক্ষার্থী।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ তুলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলন করছে, তাদের বলবো, আগামী বছর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করো।
ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরকারি মেডিকেল কলেজের ৩ হাজার ১৬২, ডেন্টাল কলেজের ৫৩২ এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ও ডেন্টাল কলেজের ১ হাজার ৩৫৫ আসন মিলিয়ে এমবিবিএস-বিডিএস কোর্সে মোট আসন সংখ্যা ১১ হাজার ৪৯টি।
এ আসন দখলে এবার লড়েছিলেন ৮২ হাজার ৯৬৪ শিক্ষার্থী। লড়াইয়ে পাস করেছেন ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী অর্থাৎ ৪৮ হাজার ৪৪৮ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯৪ দশমিক ৭৫, আর সর্বনিম্ন প্রাপ্ত নম্বর ৭৭ দশমিক ৪০। গত বছরের তুলনায় এ বছরে পাসের হার অনেক বেশি বলেও জানানো হয় ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে।
মেধা তালিকা অনুসারে পর্যায়ক্রমে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীরা।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ছয়টিসহ সারাদেশের মোট ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে এমবিবিএস-বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশের আগ থেকেই শিক্ষার্থীদের টেলিটক মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানানো হচ্ছে। ওই এসএমএসে কে-কোন কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন, সে তথ্যও উল্লেখ করা হচ্ছে। ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্যও জানানো হয়।
হাইকোর্টের রিটে প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়, সেক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, হাইকোর্টের রায় হলে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (শিক্ষা) এ বি এম আবদুল হান্নান বলেন, পরীক্ষার পর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তোলা অযৌক্তিক। পরীক্ষা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. দীন মো. নুরুল হক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা প্রকল্প পরিচালক ড. সামন্ত লাল।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫/আপডেট ১৩০৫ ঘণ্টা/আপডেট ১৪৪৪ ঘণ্টা
একে/এইচএ