ঢাকা: স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে তিনটায় সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকের শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে সর্বোচ্চ সম্মানের ব্যক্তিত্ব শিক্ষক। বেতন বৈষম্য নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠিত কমিটি পুর্নগঠন করা হয়েছে। সরকার শিক্ষকদের দাবি আমলে নিয়েছে। শিগগিরই কমিটির সভা হবে, কমিটি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে। সরকার শিক্ষকদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। বেতন এবং পদমর্যাদা বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি কমিটি বিবেচনা করবে।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন করার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর মন্ত্রিসভা অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল অনুমোদনের পর পদমর্যাদা এবং বেতন বৈষম্যের সমস্যা নিরসনের দাবিতে ক্লাস বর্জনসহ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা বর্জনেরও ঘোষণা রয়েছে তাদের।
সপ্তম বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত’ অধ্যাপকরা সচিবের সমান গ্রেড-১ স্কেলে বেতন পেতেন। জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা গ্রেড-২ এবং অধ্যাপকরা গ্রেড-৩ এ বেতন পেতেন।
অষ্টম বেতন কাঠামোতে ‘সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপক’পদটি বিলুপ্ত করে সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের সচিবদের সমান গ্রেড-১ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।
অন্যদিকে জ্যেষ্ঠ সচিবদের জন্য নতুন একটি বিশেষ গ্রেড তৈরি করে সরকার।
এর প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, আমলারা নিজেদের জন্য বিশেষ গ্রেড তৈরি করলেও শিক্ষকদের সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপক পদটি বিলুপ্ত করা হয়। ফলে আমলাদের নিচের স্কেলে বেতন পাবেন অধ্যাপকরা।
শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো প্রণয়ন, সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখারও দাবি জানান তারা। কিন্তু সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দিয়েই গত ৭ সেপ্টেম্বর অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
শিক্ষকরা এর আগে গত ২ ও ৬ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসলেও এখন পর্যন্ত সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৫
এমআইএইচ/এএসআর