ঢাকা: মা-বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এসেছি। বউ বাচ্চাদের বলে এসেছি আমার আশা ছেড়ে দাও।
বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) সকালে বাংলানিউকে কথাগুলো বলছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্তির দাবিতে অবস্থানরত অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুন্ডু।
তাপস কুন্ডু নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, আমরা সবাই ঋণগ্রস্ত। সুদের টাকার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ঘরে ফেরার উপায় নেই।
'বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা নিয়ে কলেজ পরিচালনা করেছি' যোগ করেন তিনি।
যশোর মনিরামপুর ঢাকুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ তাপস কুমার। তিনি জানান, প্রায় পাঁচশ শিক্ষার্থী রয়েছে তার কলেজে। আর শিক্ষক রয়েছেন ২১ জন।
মনিরামপুর থানাধীন ঢাকুরিয়া কলেজের সাত কিলোমিটারের মধ্যে আর কোনো কলেজ নেই।
এ এলাকার মেধাবী গরীব শিক্ষার্থীদের বিনা মুল্যে বইসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিতে হয় বলে জানান তিনি।
১৩ বার বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থানায় ১১বার ও যশোর বোর্ডে দুই বার শীর্ষস্থান অর্জন করে ঢাকুরিয়া কলেজ।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রায় শিক্ষকরা ঋণগ্রস্ত। তারা সম্মান হারানোর ভয়ে এলাকায় যেতে পারছেনা জানিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে আন্দোলনে আসা বহিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কঠিন সময়ের মধ্যে দিন পার করছি।
এদিকে ২৬ -২৭ অক্টোবর শহীদ মিনারে, ২৮-২৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং ৩০ অক্টোবর থেকে ০৪ নভেম্বর পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা।
অনশন পালন অবস্থায় এ পর্যন্ত মোট ৭০ জন শিক্ষক অসুস্থ হন। এরমধ্যে বর্তমানে সাত জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
০৪ নভেম্বর (বুধবার) নাগরিক সমাজের অনুরোধে আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেও দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৫
এফবি/বিএস