লক্ষ্মীপুর: বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১৭ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, নকলে সহযোগিতার দায়ে দুই শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাউবির এসএসসি ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষা চলাকালে জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী এ নির্দেশ দেন।
বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফারহানা আক্তার, আবদুল কাউয়ুম, জহিরুল ইসলাম, রাকিব হোসেন, সাইদুল ইসলাম, ইউসুফ আলী, মমতাজ বেগম, মরিয়ম বাশার, আয়েশা আক্তার, রাকিব হোসেন, শাহিন আক্তার, হাফিজ উল্লাহ, আল মামুন, হাছিনা আক্তার ও ফজলে রাব্বির নাম জানা গেছে।
দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন ও শিক্ষক দেবরত সরকার।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্র জানায়, বাউবির অধীনে চলমান এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাজ্জাদুল হাসান পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে নকলের বিষয়টি দেখতে পান। এ সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বই, গাইড ও নোট বই উদ্ধার করা হয়। এতে তাৎক্ষণিক ১৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
এ সময় নকলে সহযোগিতা করার অপরাধে কক্ষ পরিদর্শক দেবরত সরকার ও বালিকা বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বাউবির অধীনে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ে ১৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও দুই শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেনকে সব ধরনের পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে আজীবন বহিষ্কারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৫
এমজেড