ইবি (কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ও হেডফোনসহ আটক নাহিদ ফারজানা নামে এক পরীক্ষার্থীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোদেজা খাতুন এ আদেশ দেন।
জালিয়াতির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী সাজ্জাদ আহম্মদ ও একই বিভাগের কর্মচারী সজল কুমার অধিকারী জড়িত বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জানিয়েছেন ওই পরীক্ষার্থী।
আটক নাহিদ ফারজানা চুয়াডাঙ্গা জেলার শাহজাহান আলী ও শাহীন সুলতানার মেয়ে। শাহজাহান আলী জনতা ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত।
প্রক্টর অফিস সূত্র জানায়, সোমবার দ্বিতীয় দিনের ৪র্থ শিফটের পরীক্ষা চলাকালে অনুষদ ভবনের ২৩১নং কক্ষ থেকে নাহিদ ফারজানাকে আটক করেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান। এ সময় নাহিদ ফারজানা মোবাইল ফোনের হেডফোনে উত্তর শুনে শুনে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন বলে জানান প্রক্টর।
পরে ওই ছাত্রী মোবাইলের মাধ্যমে জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন। এ সময় ওই ছাত্রী এই ঘটনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ সাজ্জাদ আহম্মদ ও একই বিভাগের কর্মচারী সজল কুমার অধিকারী জড়িত বলে জানান।
আটক ছাত্রীকে বিকেল ৫টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রাত পৌনে ৮টার দিকে নাহিদ ফারজানাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোদেজা খাতুন।
এ সময় পুলিশকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ সাজ্জাদ আহম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সজল কুমার অধিকারীকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই আটক করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইনে ওই দুই জনের শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট খোদেজা খাতুন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
এমজেড