ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্কুল ভবনে ফাটল, বারান্দায় পাঠদান

সাইফুল ইসলাম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৫
স্কুল ভবনে ফাটল, বারান্দায় পাঠদান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): বিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন দুই ভবনেই দেখা দিয়েছে ফাটল। কখন দুর্ঘটনা ঘটে এ আশঙ্কায় ভেতরে ক্লাস নিতে ভয় শিক্ষকদের।

কোমলমতি শিশুদেরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করতে দিতে রাজি নন অভিভাবকেরা।

ফলে বাধ্য হয়েই ভবনের বারান্দাতে চলছে শিশুদের ক্লাস। তাতেও রয়েছে নানা বাগড়া। সবমিলিয়ে নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে পড়াশোনা।

এ অবস্থা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৩১নং বড়ালু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। তারা বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসলেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করতে রাজি নয়। কিন্তু শিক্ষকদের চাপের মুখে বাধ্য হয়েই বারান্দায় ক্লাস করছে তারা।

এদিকে, বিদ্যালয়ের একপাশে নেই সীমানা প্রাচীর। এতে বন্ধ থাকার সময়টাতে এলাকার জুয়ারী ও মাদকাসক্তদের আড্ডা মেলে স্কুলের বারান্দায়। এমনকি অনেক সময় স্কুল চলাকালীন প্রবেশ করে মাদকাসক্তরা।

১৯৭৩ সালে ৩১নং বড়ালু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৬৭ জন ও শিক্ষক রয়েছেন ৬ জন। ভবনের একটি কক্ষ অফিস ও বাকি ৩টি কক্ষে ক্লাস নেওয়া হয়।

প্রতিষ্ঠার পর কয়েকবার ভবনটি সংস্কার করা হলেও দীর্ঘ ৪০ বছরে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। দেয়াল ও ছাদের কয়েক জায়গার পলেস্তারা খঁসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে।

কয়েক মাস আগে আস্তর খঁসে পড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় ৩ বছর আগে ২ কক্ষ বিশিষ্ট আরো একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের কিছুদিন পর সেই ভবনেও বেশ কয়েকটি ফাটল দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের মালামাল দিয়ে নতুন ভবন নির্মাণের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়টিতে বেশ কয়েকবার চুরির ঘটনাও ঘটে। রয়েছে শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চ সংকট।

এছাড়াও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব অবহেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কোনো তদারকি না থাকায় বিদ্যালয়ের নিয়মিত পড়াশোনা ব্যাহতসহ নানা সমস্যা বিরাজ করছে।
 
এসব বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজমিন সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, সমস্যা জর্জরিত দু’টি ভবনই পুনরায় সংস্কার, শ্রেণিকক্ষ বৃদ্ধি ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লোকমান হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের সমস্যার বিষয়ে ‍আমরা অবগত রয়েছি। ৪ মাসে আগেই ওই বিদ্যালটি   উন্নয়ন তালিকায় দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৫
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।