ঢাকা: ‘শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপকদের পদমর্যাদা ও বেতনক্রম অবনমন করা হয়েছে’ এমন অভিযোগ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিক মতবিনিময় সভায় এমন অভিযোগ করা হয়।
৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে বেতনবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর নাসরীন বেগম।
তিনি জানান, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্যাডার সার্ভিসে পঞ্চম গ্রেড হতে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি দেয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপকগণ পদোন্নতি পেয়ে চতুর্থ গ্রেডে অধ্যাপক হন।
‘বৈষম্য অবসানে বিকল্প ব্যবস্থা না নিয়ে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল করায় বিভিন্ন ব্যাচ এবং একই ব্যাচের মধ্যে বেতন বৈষম্য তীব্র হচ্ছে’।
সুপার নিউমারারি পদ সৃষ্টি করে ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি এবং সকল যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে গ্রেড পরিবর্তনের বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল গ্রহণযোগ্য নয় বলে মতবিনিময় সভায় জানান তিনি।
এ সময় পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন প্রফেসর নাসরীন বেগম। দাবিগুলো হলো- প্রজাতন্ত্রের অন্য ক্যাডারদের মত শিক্ষা ক্যাডারদের সমান সুযোগ দিতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখা। ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি প্রস্তাব অনুমোদন করা। প্রজাতন্ত্রের অন্য ক্যাডারদের মত শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপকদের তৃতীয় গ্রেডে বেতন দেয়া এবং শিক্ষা বোর্ড সমূহের চেয়ারম্যান ও জেলা সদরের অধ্যক্ষের পদ প্রথম গ্রেডে উন্নীত করা।
সমিতির প্রস্তাবিত দাবি অনুযায়ী আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামী ৪ ও ৫ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা পরীক্ষা বর্জনসহ পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবেন বলে সভা থেকে ঘোষণা দেয়া হয়।
এছাড়া আগামী ২২ জানুয়ারি ২০১৬ ঢাকায় জরুরি সাধারণ সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণের কথা জানিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এফবি/আরআই