ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

‘সন্তানদের ভালো ফলে মায়েদের কৃতিত্ব’

হাসিবুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
‘সন্তানদের ভালো ফলে মায়েদের কৃতিত্ব’ ছবি : শাকিল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে: ‘সারাবছর অনেক পরিশ্রম করেছি। অনেক সময় রান্না-বান্না বন্ধ করে বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে ছুটতে হয়েছে।

বছর শেষে মেয়ে ভালো ফল করেছে, এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কী হতে পারে!’

কথাগুলো বলছিলেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া উম্মে হাবিবা সুপ্তির মা লিমা আক্তার। শুধু সুপ্তির মা-ই নয়, জেরিন তাসনিম বিনতি, আতিকা সাইয়ারা সোহাসহ এমন আরো অনেক শিশুর মা এসেছেন সন্তানের ফলাফল জানার জন্য।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) এমন কয়েকজন মায়ের সঙ্গে কথা হয় এই রিপোর্টারের। এতে উঠে এসেছে তাদের সারা বছরের পরিশ্রমের কথা। দেশের লক্ষাধিক ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এ অর্জনের পিছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এসব মায়েরা।

দুপুরের আগ থেকেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিশুদের সঙ্গে আসতে থাকেন অভিভাবকেরা। ফলাফল জানার পর শুরু হয় শিশুদের বাঁধভাঙা উদযাপন। এ উদযাপনেও মায়েরা পাশে থেকে নজর রেখেছেন শিক্ষার্থীদের।

মিসেস লিমা আক্তার আরও বলেন, বছরের শুরুর দিন থেকেই মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকি। সংসারের অন্যান্য দিকেও ঠিকমতো খেয়াল রাখতে পারি না। অনেক সময় রান্না-বান্না বন্ধ রেখে মেয়ের সঙ্গে সঙ্গে থাকি। শুধু মেয়ের ভালো ফলের আশায় এ ছোটাছুটি, যেন জীবনে ভালো কিছু করতে পারে।

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আরেক শিক্ষার্থী ত্বাসীনুর রহমানের মা ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা জিন্নাত আরা জাহান সন্তানের ফলাফল নিতে এসেছেন। ফলাফল জেনে উচ্ছ্বসিত এই মা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন নিজের অফিস থাকে। তারপরও বাসায় ফিরে আগে ছেলেকে নিয়ে বসি। ওর পড়ালেখার বিষয়গুলো দেখিয়ে দেই, এরপর বাসার কাজকর্ম করি।

নামি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগমও অভিভাবকদের এ পরিশ্রমের কৃতিত্ব দিতে কার্পণ্য করেননি। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা বরাবরের মতোই ভালো ফলাফল করেছে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান তাদের অভিভাবকের। স্কুলে একটি শিশু কতোক্ষণই বা থাকে, বাড়িতে মা-বাবার সঠিক তত্ত্বাবধানের ফলে এতো ভালো ফলাফল সম্ভব হয়েছে।

অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ভালো ফলাফল শুধু স্কুলের কৃতিত্ব নয়, শিক্ষার্থীদের মায়েদেরও কৃতিত্ব।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হয়েছে।

এ বছর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২ হাজার ১৯৭ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল, যাদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯১৩ শিক্ষার্থী।

এছাড়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় ১ হাজার ৬২৩ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ হাজার ৪৮২ শিক্ষার্থী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
এইচআর/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।