ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্কুলে বিদায় অনুষ্ঠান

টিভি দাবি শিক্ষকদের, সংঘর্ষে ৭ পরীক্ষার্থী আহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
টিভি দাবি শিক্ষকদের, সংঘর্ষে ৭ পরীক্ষার্থী আহত

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার একটি স্কুলে বিদায়ী এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে শিক্ষকরা টিভি ও ফ্যান দাবি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরে, বিষয়টি কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষ ও স্থানীয় অভিভাবকদের সংঘর্ষে সাত এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে।


 
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে আদিতমারী উপজেলার নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
 
পুলিশ, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানায়, নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের স্কুল শাখার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। বিদায়ী শিক্ষার্থীরা বিলাশ ও সাগরের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে ১৫০-২০০ টাকা হারে চাঁদা দেয়।
 
বিদায় অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে চাঁদার অর্থে কেনা দু’টি দেওয়াল ঘড়ি উপহার হিসেবে তুলে দিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান এন্তাজুর রহমানের কাছে যায় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এন্তাজুর রহমান ও সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন পাটোয়ারী ঘড়ি দু’টি ফিরিয়ে দিয়ে রঙ্গিন টিভি ও কয়েকটি ফ্যান উপহার হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছে দাবি করেন।
 
শিক্ষার্থীরা একাধিকবার প্রধান শিক্ষকের কাছে উপহার দিতে গিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। একপর্যায়ে আসাদুজ্জামান নামে এক শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষার্থী একটি ঘড়ি ছিনিয়ে নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় অভিভাবকরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।  
 
খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বিলাশ, সাগর, আসাদুজ্জামান, আক্তারুজ্জামানসহ সাত পরীক্ষার্থী আহত হয়। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে তারা।
 
চলতি বছর এ বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত ১২৭ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার তাদের বিদায় দিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  
 
নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ এন্তাজুর রহমান উপহার দাবি করার বিষয়টি অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কমিটিকে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
 
নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
 
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) আব্দুস সোবহান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সমাধানের জন্য বলা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬   
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।