ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অনিয়ম

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৬
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান

ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের জনবল নিয়োগ, প্রশাসনে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে স্থায়ী কমিটিতে প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য ইউজিসি চেয়ারম্যান আগামী শনিবার (০৫ মার্চ) ও রোববার (০৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শন করবেন।


 
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে।
 
চিঠিতে বলা হয়, ‘দশম জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে স্থায়ী কমিটিতে প্রতিবেদন উপস্থাপনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান আগামী ৫ ও ৬ মার্চ পরিদর্শন করবেন’।
 
‘পরিদর্শনকালে ৬ মার্চ বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন’।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে উপস্থিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো’।
 
গত ২৯ ফেব্রুয়ারির ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ইউজিসি’র অতিরিক্ত পরিচালক (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগে) ফেরদৌস জামান।

চিঠির অনুলিপি শিক্ষক সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের একান্ত সচিব, কর্মচারী সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককেও পাঠানো হয়েছে।

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে শিক্ষকদের পদত্যাগ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে অস্থির ছিল ২০১৪-২০১৫ সালের বেশ কয়েক মাস। ওই সময় উপাচার্যের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করেন।
 
এসব বিষয় নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের আন্দোলন ছাড়াও উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবীর বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ আসে। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ক্লাস-পরীক্ষা চালুর ব্যবস্থা করে।
 
অন্যদিকে ইউজিসির চেয়ারম্যানকে যাতে কোনো অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিষয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কিছু জানাতে না পারেন সেজন্য উপাচার্য তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি উপাচার্যের পক্ষে লিখিত দেওয়ার জন্যও চাপ প্রয়োগের অভিযোগ এসেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৬
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।