ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পার্থক্যের অবকাশ নেই

স্টাফ ও রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৬
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পার্থক্যের অবকাশ নেই ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

রাবি (রাজশাহী): এখন আর সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পার্থক্য করার অবকাশ নেই। সবাই শিক্ষা কার্যক্রমে অবদান রাখছে।

উভয় ধারার শিক্ষার্থীই আমাদের সন্তান। সরকার তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না। তবে আমাদের অবশ্যই শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ হতে হবে।

রাজশাহীতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, আধুনকি বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে তৈরি হতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষার মাধ্যমে এটা সম্ভব না। এজন্য প্রয়োজন যুগপোযোগী আধুনিক শিক্ষা। যে শিক্ষায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে। শুধু পরীক্ষায় পাস করলে হবে না। আমাদের দেশের সমস্যার সমাধান বাইরের কেউ করে দেবে না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরই জ্ঞান সৃজন করতে হবে, গবেষণা করতে হবে।

শুধু জ্ঞান-প্রযুক্তিতে শিক্ষিত হলেই হবে না। ভালো মানুষ হতে হবে। শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয় না হলে মানবকল্যাণে কাজ করা সম্ভব না। -শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

দেশের নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের মেধাবী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে এখন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। তারা শিক্ষায় অবদান রাখছে। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পূরণ করতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করে নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরি করতে হবে।

রাজশাহী নগরের খড়গড়ি বাইপাস এলাকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত মূল ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর এম সাইদুর রহমান খান, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. শাহ নওয়াজ আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর রফিকুল আলম বেগ, নর্থবেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আবদুল খালেক প্রমুখ।

এতে সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ওসমান গণি তালুকদার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর নুরুল হোসেন চৌধুরী।
 
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হাফিজুর রহমান খান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-২০১০ অনুযায়ী আমরা ২০১৯ সালের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এরই মধ্যে আমরা সরকার নিদের্শিত ছয় বিঘা জমির অধিক প্রায় ৩০ বিঘা জমি কিনতে পেরেছি। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য একটি বড় ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

এসময় শিক্ষা কার্যক্রমে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাফল্য ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন তিনি।

অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০১২ সালে ছয়টি বিভাগে ৮৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে তিনটি অনুষদে ১০টি বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার।

আর শিক্ষক আছেন পূর্ণকালীন ১১৩ জন ও খণ্ডকালীন ৩৬ জন। বর্তমানে তিনটি অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৬
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।