ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

টয়লেট না থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৬
টয়লেট না থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: টয়লেট না থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, ‘ভালো মানের শিক্ষার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ খুব জরুরি।

টয়লেট ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা সুষ্ঠু পরিবেশের প্রধান উপাদান। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমি নিজে গিয়ে ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ দেখে আসবো। ’

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে ‘দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি বাজেট বৃদ্ধি’ বিষয়ে চাইল্ড র্পালামেন্ট অধিবেশনে আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি যৌথভাবে ১৩তম চাইল্ড পার্লামেন্টের আয়োজন করে।

‘চাইল্ড পার্লামেন্ট’ এর ১৩তম অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও তাদের নেতৃত্বের বিকাশে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে স্টুডেন্টস কেবিনেট গঠন করা হয়েছে। ক্যাবিনেটের কাজ হচ্ছে শিক্ষকদের সাহায্য করা, বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখা। এসব কাজ করতে না পারলে তাদের নেতৃত্বে থাকার কোনো দরকার নেই। ’

তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পয়ঃনিষ্কাশন, নিরাপত্তা জোরদার ও মাদক নির্মূল কার্যক্রমে এসব স্টুডেন্ট কেবিনেটকে  গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়ি ও উপকূলীয় এলাকার প্রতিটি বিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি হোস্টেল নির্মাণ করা হবে। সরকার এই ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছে। প্রত্যন্ত এলাকার এসব শিক্ষার্থীরা ভালো পড়াশোনার সুযোগ পায় না। তাদের হোস্টেলে রেখে ভালোভাবে পড়াশোনা করানো হবে। ’
 
সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় পর্যন্ত শিশু সাংসদের বিষয়ভিত্তিক আলোচনা চলে। এতে প্রতি জেলা থেকে একজন এবং ২০টি বিশেষ অঞ্চল (যেমন-চরাঞ্চল, পাহাড়ি অঞ্চল, চা বাগান, সি-বিচ ইত্যাদি) থেকে চাইল্ড পার্লামেন্টের ৮৬ জন সদস্য যোগ দেন অধিবেশনে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগম মুক্তা বলেন, ‘সরকার দেশের ১২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করেছে। ক্রমান্বয়ে অন্যান্য বিদ্যালয়েও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হবে। ’

চাইল্ড পার্লামেন্ট শিশুদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত শিশুদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিশুদের অধিকারের কথাগুলো আইন প্রণেতাদের কাছে তুলে ধরছে। জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের আলোকে শিশু অধিকার পরীবিক্ষণ ও বাস্তবায়নে জাতীয় শিশু টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) সদস্যরা ৬৪ জেলায় কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মে ৩১,  ২০১৬
এসএম/পিসি
 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।