ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পঞ্চম ও অষ্টমে একটি সমাপনী পরীক্ষার কথা ভাবছে সরকার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৬
পঞ্চম ও অষ্টমে একটি সমাপনী পরীক্ষার কথা ভাবছে সরকার  ছবি:রানা-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এ বছরে একটা সমাপনী পরীক্ষার কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে 'অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা এবং বাস্তবতা' শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে তিনি এ কথা জানান। সেমিনারের আয়োজন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো জার্নি।

 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পঞ্চম ও অষ্টম মিলিয়ে প্রাথমিকে আমরা নিশ্চয়ই একটি সমাপনী পরীক্ষার কথা ভাবছি। এ বছরেই তা কার্যকর করার চেষ্টা করছি। যদিও এটা আমাদের এখতিয়ার নয়। আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত কেবিনেটে পাঠাবো, সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি বলেন, সৃজনশীল থাকবে কি না তা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যারা রয়েছেন তারা ভাববে। তবে সরকারিভাবে কোচিংকে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে অনেক দ্বিমত রয়েছে। প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক সহজবোধ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, শিক্ষার এখনো অনেক মান রয়েছে তারপরও হতাশা। কারণ আমরা প্রত্যাশিত ফল পাচ্ছি না।  জীবন দক্ষতা বৃদ্ধি প্রাথমিক শিক্ষার মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে গণশিক্ষামমন্ত্রী বলেন, সন্তানদের শুধু মানুষ করলে হবে না। মানব সম্পদে রূপান্তর করতে হবে।  

সেমিনারের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান।  

প্রাথমিক শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার প্রধান চ্যালেঞ্জ সমূহের বিষয়ে ছিদ্দিকুর রহমান জানান, নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকার,যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম, শিক্ষকদের শিক্ষা, ভৌত অবকাঠামো, প্রশাসনিক পুনবির্ন্যাস এবং অর্থায়ন।  

তিনি বলেন, ৭০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে ১৯ হাজার হাইস্কুল যুক্ত হবে। এ ক্ষেত্রে সারা দেশে ‘স্কুল মেকিং ম্যাচ’ কার্যক্রম করা উচিত।  

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগের থেকে হাইস্কুল শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি দুর্বল। তাই শিক্ষক নিয়োগের বিষয় গুরুত্ব সহকারে মনিটরিং করতে হবে।  
এ সময় উপস্থিত শিক্ষাবিদরা বলেন, নতুন শিক্ষা কার্যক্রম নীতিতে শিশু মনোবিজ্ঞান বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও মনোবিজ্ঞান এই চার বিষয়কে গুরুত্ব দেয়ার কথা জানান তারা।

এছাড়া এক দেশে তিন ধরনের (ইংলিশ মিডিয়াম, বাংলা মিডিয়াম ও মাদ্রাসা) শিক্ষা কার্যক্রম দেশের জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে না বলেও জোরালো মত ব্যক্ত করেন উপস্থিত শিক্ষাবিদরা।  

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. হুমায়ন খালিদ, জার্নির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০, জুন ১৪, ২০১৬
এফবি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।