ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শেকৃবিতে ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
শেকৃবিতে ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ

ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) শিক্ষক  লাঞ্চনার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা রক্ষা কমিটি দুই অনুষদের ১০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.পরিমল কান্তি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে শৃংখলা বোর্ড এ সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে।

 

প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১৮ জুন সিন্ডিকেট সভায় শৃংখলা বোর্ডের সুপারিশ চূড়ান্ত হবে। এ সুপারিশ কার্যকর হলে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা এক থেকে দেড় বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রমে নিষিদ্ধ হবেন।

বহিস্কারে সুপারিশ হওয়া পশুপালন ও ভেটিরিনারী মেডিসিন (এএসভিএম) অনুষদের শিক্ষার্থীরা হলেন- সাদ্দাম পাটোয়ারী, তনয় চক্রবর্তী, শাকিল আক্তার সৈকত, সামিউল হক ও আকিব জাবের এবং কৃষি ব্যবসা ও বিপণন (এবিএম) অনুষদের শিক্ষার্থীরা হলেন- কাজী ফয়সাল আহমেদ, জাহিদুজ্জামান জাহিদ, মশিউর রহমান, শাহজালাল আকন ও মেহেদি হাসান।

এবিএম অনুষদের ডিন অধ্যাপক নূর মো. রহমতউল্লা বলেন, এএসভিএমের শিক্ষকরা মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য বলে বেড়াচ্ছে। আমাদের অনুষদের কোনো শিক্ষার্থী তাদের গায়ে হাত তুলেনি। বরং তাদের ছাত্রদের উগ্রতার কারণেই আমাদের ছাত্ররা উত্তজিত হয়।

এদিকে পশুপালন ও ভেটিরিনারী মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ওই দিন আমি ও আমার অনুষদের দুই শিক্ষকও লাঞ্চিত হয়েছিলাম। মারামারি আটকাতে গিয়ে এটা হতেই পারে। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ এটা করেনি। তবে আমরাও দোষী ছাত্রদের বিচার চাই।

এবিএম অনুষদের শিক্ষার্থীদের হাতেই শিক্ষক মিজানুল হক কাজল আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন  মোফাজ্জল হোসেন।

বহিষ্কারে সুপারিশ হওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের স্নাতক ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। কোনো দোষ না করলেও ঢালাও ভাবে আমাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। জীবন থেকে একটা বছর আমরা হারাতে চাই না।

চলতি বছর ৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল ভবনে এবিএম অনুষদের  শিক্ষার্থীরা অনুষদের নাম সম্বলিত ব্যানার লাগাতে যায়। এসময়  ব্যানার লাগানোর স্থান নিয়ে কৃষি ব্যবসা ও বিপণন এবং  পশুপালন ও ভেটিরিনারী মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় সংঘর্ষ থামাতে গেলে এবিএম অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মিজানুল হক কাজল গুরতর আহত হন।   এ নিয়ে উভয় অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী একে অপরকে দোষ‍ারোপ করে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
ওএইচ/

** শেকৃবি’তে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থী শোকজ

** শেকৃবি’তে দুই অনুষদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।