ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী শুরু ২০ নভেম্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৬
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী শুরু ২০ নভেম্বর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চলতি বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা আগামী ২০ নভেম্বর শুরু হচ্ছে। শেষ হবে ২৭ নভেম্বর।

রোববার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।  

সভায় প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

মন্ত্রী জানান, এবার প্রাথমিক সমাপনীতে ৩১ লাখ ২৫ হাজার জন ও ইবতেদায়ীতে ৩ লাখ ২০ হাজার জনসহ সম্ভাব্য মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার, যা গত বছরের চেয়ে ২ লাখ ৪৫ হাজার বেশি।

প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবারও আট সেটের মাধ্যমে সারাদেশে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সভায়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এক উপজেলার শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র একই জেলার অন্য উপজেলার পরীক্ষক দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. হুমায়ুন খালিদ জানান, একই মানের আট সেটে আট বিভাগের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  

এবারও পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা অন্যান্যবারের মত এবারও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে।

আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে স্বরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নেওয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল এবং ইবতেদায়ীতে এই পরীক্ষা শুরু হয় ২০১০ সালে।

সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।

সভায় জানানো হয়, প্রাথমিক সমাপনীতে এবার ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুল ও ৪৯ হাজার সাধারণ কোটাসহ মোট ৮২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা যথাক্রমে ৩০০ ও ২২৫ টাকা হারে বৃত্তি পায়।

প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল দেওয়া হচ্ছে।

২০১৩ সাল থেকে এই পরীক্ষার সময় আধঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।

জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় গত ১৮ মে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অধীনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এরপর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলেও গত ২৭ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে চলতি বছরও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিসভা।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার এবারই শেষ কি না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, অষ্টম শ্রেণির সমাপনী ও প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে হয়ে আসছে। মন্ত্রিসভা যতক্ষণ না পর্যন্ত পরীক্ষা পরিবর্তন না করেন ততক্ষণ পরীক্ষা যথারীতি আগের মত চলবে।  

২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে অংশ নেয় ২৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৪ জন, পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ইবতেদায়ীতে ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৪ জন ও পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।

চলতি বছরের পরীক্ষা শেষে আগামী ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর, শিক্ষা, স্বরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

পরীক্ষার বিস্তারিত সূচি
প্রাথমিক সমাপনীতে ২০ নভেম্বর ইংরেজি, ২১ নভেম্বর বাংলা, ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২৩ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২৪ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং ২৭ নভেম্বর গণিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আর ইবতেদায়ীতে ২০ নভেম্বর ইংরেজি, ২১ নভেম্বর বাংলা, ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২৩ নভেম্বর আরবি, ২৪ নভেম্বর কুরআন ও তাজবীদ এবং আকাইদ ও ফিকহ এবং ২৭ নভেম্বর গণিত বিষয়ের পরীক্ষা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৬/ আপডেট ১৩২৭ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।