ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সিলেট বোর্ডে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৬
সিলেট বোর্ডে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

সিলেট: সিলেট শিক্ষা বোর্ডে গত পাঁচ বছর ক্রমশ নিম্নগামী হচ্ছে পাসের হার। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের তুলনায় এবারও পাসের হার কমেছে।

সেইসঙ্গে কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা।  

এবার সিলেট বোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিকে গড় পাসের হার ৬৮.৫৯ শতাংশ। ২০১৫ সালে পাসের হার ছিল ৭৪.৫৭ শতাংশ।   আর ২০১৪ সালে ছিল ৭৯.১৬ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৭৯.১৩ শতাংশ এবং ২০১২ সালে পাসের হার ছিল ৮৫.৩৭ শতাংশ।

সারাদেশে গড় পাসের হার বাড়লেও কমেছে সিলেট বোর্ডের হার।   গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৬৯.৬০ শতাংশ, যা এ বছর বেড়ে হয়েছে ৭৪.৭০ শতাংশ।

ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার সিলেট বোর্ডে ৬৩ হাজার ৯৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৩ হাজার ৮শ’ ৭০ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৩শ’ ৩০ জন শিক্ষার্থী।

২০১৫ সালের ফলাফল অনুযায়ী, সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৪.৫৭ শতাংশ। ওই বছর ৫৭ হাজার ৭০২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৪৩ হাজার ২৮ জন। তার মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল এক হাজার ৩শ’ ৫৬ জন।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ২০১৪ সালের ফলাফলে পাসের হার ছিল ৭৯.১৬ শতাংশ। ওই বছর ৫৭ হাজার ৫শ’ ৬১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৪৫ হাজার ৫শ’ ৬৮ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭০ জন।

২০১৩ সালে এ বোর্ডে ৭৯.১৩ শতাংশ পাসের হার ছিল।   ওই বছর ৪২ হাজার ৯শ’ ৮০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৩৪ হাজার ৯ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর ছিল ১ হাজার ৫শ’ ৩৫ জন।

আর ২০১২ সালে এ বোর্ডের অধীনে এবং ৩৭ হাজার ৩শ’ ৭২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৩১ হাজার ৯শ’ ৩ জন।   এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ২ হাজার ৬৫ জন। ওই বছরে গড় পাসের হার ছিল ৮৫.৩৭ শতাংশ।

পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে নতুন যুক্ত ৬টি সৃজনশীল বিষয় এবং ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল আহমদ চৌধুরী বলেন, সৃজনশীল বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা ভালো করতে পারেনি। বিশেষ করে ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ে ভালো করতে না পারায় ফলাফল কমেছে।

পাসের হার কমে যাওয়া প্রসঙ্গে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সামসুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় আবশ্যিক বিষয় ও আইসিটি বিষয়ে বেশি ছাত্র-ছাত্রী ফেল করার কারণে বোর্ডের পাসের হারের সূচক আগের বছরগুলোর তুলনায় কমেছে।  

বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল জানান শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম কিবরিয়া তাপাদার। এ বছর সিলেট বোর্ডের অধীনে ২৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মোট ৬৩ হাজার ৯৫৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৪৩ হাজার ৮৭০ জন। এদের মধ্যে ছেলে ২০ হাজার ৭৭৯ ও মেয়ে শিক্ষার্থী ২৩ হাজার ৯১ জন।   জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ১ হাজার ৩শ’ ৩০ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছেলে ৭৯৪ ও মেয়ে ৫৩৬ জন।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডে এবার শতভাগ ফলাফল অর্জন করেছে ৫টি কলেজ। এগুলো হলো সিলেট ক্যাডেট কলেজ, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উইমেন্স মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভাতরাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও খাজাঞ্জিবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৬
এনইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।